আগৈলঝাড়ায় সংঘর্ষে ১জন হত্যার ঘটনায় ব্যাপক লুটপাট ॥ ৪টি পরিবার এলাকা ছাড়া

বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের পর পুলিশি গ্রেফতার ও প্রতিপক্ষের হামলার আতংকে কনে পরিবারসহ চারটি পরিবারের নারী-পুরুষরা এলাকা ছেড়ে আত্মগোপন করেছেন। গতকাল শনিবার বিকেলে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনাটি বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার রতœপুর ইউনিয়নের বেলুহার গ্রামের।

ওই গ্রামের আবু তাহের সরদারের পুত্র আত্মগোপনে থেকে চিকিৎসা নেয়া রেদোয়ান সরদার মোবাইল ফোনে অভিযোগ করে বলেন, শুক্রবার রাত সাড়ে এগারোটার দিকে প্রতিপক্ষ আবু বক্করের লোকজনে তাদের বসত ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুরসহ ব্যাপক লুটপাট করেছে। হামলাকারীরা তাদের একটি গরু, দুইটি ছাগল ও তার চাচা আবু সালেহ সরদারের দুইটি গরু লুট করে নেয়। রেদোয়ানের চাচি প্রবাসী নাসির উদ্দিন সরদারের স্ত্রী মুকুলি বেগম জানান, হামলাকারীরা তার গৃহে লুটপাট করতে গেলে তিনি বাঁধা প্রদান করেন। এসময় তাকে মারধর করা হয়।

হত্যার ঘটনায় নিহত জাকির হোসেন সরদারের সহদর খলিল সরদার বাদি হয়ে শুক্রবার বিকেলে আগৈলঝাড়া থানায় কনের পিতা আবু সাদেক, কনে শিলা বেগম সাদেকের আত্মীয় গৌরনদী উপজেলার নলচিড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব জামাল উদ্দিন ফকিরসহ ২১ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা দায়েরের পর কনের পরিবারসহ ৪টি পরিবার পুলিশী গ্রেফতার আতংকে ও প্রতিপক্ষের হামলার ভয়ে নিজ এলাকা ছেড়ে আত্মগোপন করেছেন।  

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই মাহবুব আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, প্রতিপক্ষরা জাকিরের মৃত্যুর খবর শুনেই শুক্রবার দুপুরে পরিবারের সবাইকে নিয়ে আত্মগোপন করেছেন। আসামিদের গ্রেফতারের জন্য জোড়প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

গতকাল শনিবার বিকেলে বরিশাল পুলিশ সুপার দেবদাস ভট্টাচার্য, গৌরনদী সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ জাকির হোসেনসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাতে মাদ্রাসা ছাত্রী উম্মে কুলসুম শিলাকে বিয়ে দেয়াকে কেন্দ্র করে হামলা-পাল্টা হামলা ও সংঘর্ষে একজন নিহত ও মহিলাসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়।