বরিশালে ছাত্রদলের দু’গ্রুপের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পণ্ড ॥ ৯ জন আটক

কর্মসূচিতে পুলিশি লাঠিচার্জে ১৫ নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। এছাড়া মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক জি.এম আতায়ে রাব্বী ও সহসভাপতি আফরোজা খানম নাছরিনসহ ৯ জনকে আটক করা হয়েছে। অপর আটকৃতরা হলো-মাহমুদ দুলাল, নঈম, নওশের, বাকীর হোসেন, রাসেল এবং রিমন। তবে আরেকজনের নাম জানা যায়নি।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম খান রাজনের বিরুদ্ধে শুক্রবার হত্যার হুমকির অভিযোগ এনে কোতোয়ালি মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন মহানগর ছাত্রদলের সহসভাপতি আফরোজা খানম নাছরিন। ছাত্রদল নেত্রী আফরোজা খানম নাছরিনকে হত্যার হুমকি দেয়ায় বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এম.পি মজিবর রহমান সরোয়ার সমর্থক ছাত্রদল বরিশাল অশ্বিনী কুমার টাউন হল প্রাঙ্গণে শনিবার বেলা ১১টায় মানববন্ধনের প্রস্তুতি নেয়। এ সময় পুলিশ তাদের ধাওয়া করে ব্যাপক লাঠিচার্জ করে। লাঠিচার্জে বি.এম কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক জি.এস আবু জাফর বাদলসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে ছাত্রদল নেত্রী নাছরিনকে আটক করে পুলিশ।

একই সময়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় মৎসজীবী সম্পাদক সাবেক মেয়র আহসান হাবীব কামাল সমর্থক ছাত্রদল রাজনের বিরুদ্ধে ডাইরি করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। তাদের মিছিলেও পুলিশ লাঠিচার্জ করে। মিছিল থেকে ছাত্রদল নেতা জিএম আতায়ের রাব্বীকে আটক করা হয়। নাছরিন ও রাব্বীসহ পুলিশ ৯ জনকে আটক করেছে।
এদিকে পুলিশী ধাওয়া শেষে ছাত্রদলের সরোয়ার সমর্থকরা বগুড়া রোডে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে। বিক্ষোভে ছাত্রদল নেতা খন্দকার আবুল হাসান লিমন, হাফিজ আহমেদ বাবলু, খন্দকার মামুন, চুন্নু মৃধা, বেলায়েত হোসেন এবং কামরুল উপস্থিত ছিলেন। কামাল সমর্থক ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা কালিবাড়ি রোডে জড়ো হয়ে লাঠিচার্জ ও আটকের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করে। ছাত্রদল নেত্রী আফরোজা খানম নাছরিন জানিয়েছেন, তিনি সদর রোড দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। ওই সময় পুলিশ তাকে অন্যায়ভাবে আটক করেছে। বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি কমলেশ Gournadi.com-কে জানান, মেট্রোপলিটন এলাকায় বিনা অনুমতিতে মিছিল-মানববন্ধন করার অভিযোগে ৯ জনকে আটক করা হয়েছে।