অবিরাম বর্ষণে আগৈলঝাড়া-পয়সারহাট সড়কের বিভিন্নস্থানে গর্তের সৃষ্টি

অনুপযোগী হয়ে পরেছে। এসব গর্তের কারণে প্রতিদিন দূরপাল্লার যাত্রীবাহী পরিবহন, টেম্পো, রিকশা ও মোটরসাইকেল উল্টে ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। মাঝে মধ্যে সড়ক ও জনপদ বিভাগ থেকে কোন রকম মেরামত করার পর একটু বৃষ্টি হলেই তা খানাখন্দে পরিণত হয়। গত আওয়ামীলীগ সরকারের সময় হাইওয়ে সড়ক হিসেবে নির্মাণ কাজ শুরু হলেও চারদলীয় জোটসরকারের সময় তা বন্ধ হয়ে যায়। এ সড়কটি বিগত ২০০০ সালে নির্মাণ কাজ প্রথমে উদ্বোধন করেন সাবেক চিফ হুইপ আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ্। যা জোটসরকারের সময় দ্বিতীয়বার বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্নমহাসচিব তারেক রহমান ও তৎকালীন স্থানীয় এমপি জহিরউদ্দিন স্বপন গৌরনদীতে নামফলক স্থাপনসহ পুনঃ উদ্বোধন করলেও ওই আমলে সড়কটির উন্নয়ন আর আলোর মুখ দেখেনি।

আগৈলঝাড়া-পয়সারহাট সড়কের বিভিন্নস্থানে খানাখন্দক ও গর্ত

আগৈলঝাড়া-পয়সারহাট সড়কের বিভিন্নস্থানে খানাখন্দক ও গর্ত

২০০৫ সালে সওজ বিভাগ সড়ক উন্নয়নে দু’ভাগে প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে টেন্ডার আহ্বান করলে মৈত্রী এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান গৌরনদী থেকে আগৈলঝাড়া পর্যন্ত প্রায় ৭ কি.মি. ও মেসার্স শফিকুল বারী এন্টারপ্রাইজ আগৈলঝাড়া থেকে পয়সারহাট পর্যন্ত প্রায় ৯ কি.মি. সড়ক সংস্কারের কাজ জোড়াতালি দিয়ে কোনরকমে শেষ করে। সড়কটির নির্মান কাজ নিম্নমানের হওয়ায় বর্ষাকালে সড়কটির বিভিন্নস্থান বিধ্বস্তসহ বড় বড় গর্ত ও খানাখন্দকের সৃষ্টি হয়। এ সড়কটি নির্মাণের শুরু থেকে প্রতিবারই সংস্কারের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা লুটপাট হয়েছে। যার ফলে আগৈলঝাড়া-পয়সারহাট অংশে কালুরপাড় স্ট্যান্ডের পূর্বপাশে, ছবিখাঁরপাড় মন্দির সংলগ্ন এলাকায় এবং জোবারপাড় প্রাইমারী স্কুলের উত্তরপাশে ব্রিজের গোঁড়ায় এবং ব্র্যাক সংলগ্ন পূর্বপাশে ব্যাপক বিধ্বস্ত হয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

সড়কটির বিভিন্নস্থানে কোন গাইডওয়াল না থাকায় খাল সংলগ্ন পাড় ভেঙে বিটুমিন উঠে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরেছে। ফলে এসমস্ত স্থানে দূরপাল্লার বাস, টেম্পো, রিকশা ও মোটরসাইকেলে অহরহ দূর্ঘটনা ঘটছে। এই সড়কটি দিয়ে ঢাকা ও জেলা শহর বরিশালে প্রতিদিন ৩০/৩৫টি বাস ও কোচ চলাচল করে। এছাড়াও বছরের পর বছর গড়িয়ে তিনটি ব্রিজ তৈরী শেষ হলেও গোঁড়ায় মাটি ভরাট না করায় ডাইভারশন দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চলাচল করছে। পরিবহন যাত্রী ও পথচারীরা এ সড়ক দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অজানা আতঙ্কে যাতায়াত করছে।