হাইসাওয়া’র ১৬ লক্ষ টাকার টেন্ডার ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের হাতে গুছ

এতে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হওয়াসহ সাধারণ ঠিকাদাররা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বিশ্বস্তসূত্রে জানা গেছে, আগৈলঝাড়া উপজেলার ৩টি ইউনিয়নে স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য বেসরকারী সংস্থা হাইসাওয়া ইউপি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে টেন্ডার আহ্বাণ করে। গত ২ সেপ্টেম্বর থেকে রাজিহার, বাকাল ও বাগধা ইউনিয়নে টেন্ডার সিডিউল বিক্রি শুরু হয়। ১৬ সেপ্টেম্বর টেন্ডার জমাদানের শেষদিনে প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে গুছের নিয়মানুযায়ী ৩টি করে সিডিউল জমা দেয়া হয়। উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নে ৪ লক্ষ ৯ হাজার ৫ শ’ ১৬ টাকা ব্যয়ে ২ কক্ষ বিশিষ্ট ২টি স্বাস্থ্যসম্মত লেট্রিন নির্মাণ ও ২টি গভীর নলকূপ স্থাপনের জন্য ৫টি সিডিউল বিক্রি হলেও গুছের কারণে জমা পরেছে ৩টি। সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে মেসার্স গিয়াস উদ্দিন হাওলাদার নামক প্রতিষ্ঠানের নামে রাজিহার ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবকলীগের আহ্বায়ক দেবদুলালকে কাজটি দেয়া হয়।

বাগধা ইউনিয়নে ৬ লক্ষ ৯৭ হাজার ২ শ’ ৪৮ টাকা ব্যয়ে ৩ কক্ষ বিশিষ্ট ২টি ও ২ কক্ষ বিশিষ্ট ১টি স্বাস্থ্যসম্মত লেট্রিন নির্মাণ ও ৩টি গভীর নলকূপ স্থাপনের জন্য ৩টি সিডিউল বিক্রি হয়ে জমাও পরেছে ৩টি। সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে মেসার্স গীতা কনস্ট্রাকশন নামক প্রতিষ্ঠানের নামে বাগধা ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি মোশাররফ হোসেন ছবিকে দেয়া হয়। বাকাল ইউনিয়নে ৪ লক্ষ ৫৮ হাজার ৮ শ’ ১০ টাকা ব্যয়ে ৩ কক্ষ বিশিষ্ট ১টি ও ২ কক্ষ বিশিষ্ট ১টি মোট ২টি স্বাস্থ্যসম্মত লেট্রিন নির্মাণ ও ২টি গভীর নলকূপ স্থাপনের জন্য ৪টি সিডিউল বিক্রি হয়ে সেখানে জমা পরেছে ৩টি। আর এতে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে জনৈক হারুনের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নামে কাজটি বরাদ্দ হলেও বাকাল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রমেশ হালদারকে তা দেয়া হয়। ক্ষমতাসীন দলের লোকজন গুছের মাধ্যমে কাজ নেয়ার ফলে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। পাশাপাশি সাধারণ ঠিকাদাররা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। বাগধা ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাবুল ভাট্টি বলেন, টেন্ডার কোন রকম গুছ হয়নি। সঠিক নিয়মতান্ত্রিকভাবে টেন্ডার হয়েছে। রাজিহার ইউপি চেয়ারম্যান আফজাল সিকদারের মোবাইল বন্ধ পাওয়া গেছে। বাকাল ইউপি চেয়ারম্যান যতীন্দ্রনাথ মিস্ত্রীর মোবাইলে বারবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। টেন্ডারে গুছের ব্যাপারে হাইসাওয়া’র উপজেলা সমন্বয়কারী শাহারুল আলম সাংবাদিকদের জানান, টেন্ডারে গুছের ব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা। স্ব স্ব ইউপি চেয়ারম্যানরা তা বলতে পারবেন।