গৌরনদীতে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে মামলা

সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধুকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে স্বামী ও তার পরিবারের ৪ জনের বিরুদ্ধে গত মঙ্গলবার বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের পিতা উপজেলার জঙ্গলপট্টি গ্রামের আহম্মদ আলী সন্যামাত বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

যৌতুকের দাবিতে প্রায়ই মাহাবুবাকে শারীরিক নির্যাতন করত
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২ বছর পূর্বে উপজেলার জঙ্গলপট্টি গ্রামের আহম্মেদ আলী সন্যামাতের কন্যা মাহাবুবা আক্তারের (২০) সাথে পাশ্ববর্তী বিল্লগ্রাম এলাকার নোয়াব আলী সরদারের পুত্র জসিম সরদারের (২৫) বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই স্বামী জসিম সরদারসহ ও তার পরিবারের লোকজনে যৌতুকের দাবিতে প্রায়ই মাহাবুবাকে শারীরিক নির্যাতন করত।  গত ১১ সেপ্টেম্বর জসিম সরদার ব্যবসার কথা বলে এক লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। দিনমজুর আহম্মদ আলী সন্যামাত যৌতুকের এ টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। পরেরদিন দুপুরে যৌতুকলোভী আসামিরা মাহাবুবা আক্তারকে বেদম মারধর করে অজ্ঞান করে ফেলে। অবস্থা বেগতিক দেখে আসামিরা মাহাবুবার মুখে বিষ ঢেলে মুমুর্ষ অবস্থায় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক মাহবুবাকে মৃত বলে ঘোষনা করার পর আসামিরা হাসপাতালে লাশ ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনার ১১ দিন পর নিহত গৃহবধূ মাহবুবার দিনমজুর পিতা আহম্মেদ আলী বাদি হয়ে গত মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হচ্ছে নিহত মাহাবুবার স্বামী জসিম সরদার (২৫), দেবর রুবেল সরদার (২০), শাশুরি জহুরা বেগম (৪০), শশুর নোয়াব আলী সরদার (৪৫)। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে গৌরনদী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।