নির্যাতনের পর খুঁটির সাথে বেঁধে রেখেছে এক প্রভাবশালী গ্রাম্য সুদি মহাজন। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শনিবার সকালে বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার পাকুরিতা রথবাড়ি গ্রামে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ওই গ্রামের মৃত ঝন্টু বাড়ৈর সম্পত্তির ওপর দীর্ঘদিন থেকে লোলুপ দৃষ্টি পরে একই এলাকার অসিম বাড়ৈর। সে সুবাধে ঝন্টু বাড়ৈর বিধবা স্ত্রী উর্মিলা বাড়ৈকে (৩৫) অসিম নানা ধরনের ভয়ভিতীসহ প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছিলো।
বিবস্ত্র করে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের পর খুঁটির সাথে বেঁধে রাখা অবস্থায় কান্নাজড়িত কন্ঠে দিনমজুর বিধবা উর্মিলা বাড়ৈ জানান, সম্পত্তি আত্মসাতের লে গত দেড়মাস পূর্বে তার পুত্র প্রশান্ত বাড়ৈকে (১৫) সুদিমহাজন অসিম ও তার সহযোগীরা একটি সাজানো চুরির ঘটনায় অভিযুক্ত করে দেশত্যাগে বাধ্য করে। এরপর একাধিবার তাকে (উর্মিলাকে) শারিরিক নির্যাতন করা হয়। গতকাল শনিবার সকাল সাতটার দিকে অসিম ও তার লোকজনে আগৈলঝাড়া-পয়সারহাট সড়কের রথবাড়ি নামকস্থানে বসে উর্মিলার ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা উর্মিলাকে বিবস্ত্র করে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের পর তার পরনের কাপড় দিয়ে পাশ্ববর্তী সন্তোষ বাড়ৈর বসত ঘরের সম্মুখের একটি বাঁশের খুঁটির সাথে বেঁধে রাখেন। খবর পেয়ে স্থানীয় সংবাদকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছলে অসিমের লোকজনে সংবাদকর্মীদের ছবি তুলতে বাঁধা প্রদান করেন। বিধবা উর্মিলা বাড়ৈ আরো জানান, প্রতিপ অসিম বাড়ৈ ও তার লোকজনের অব্যাহত হুমকির মুখে গত ১৫ সেপ্টেম্বর তিনি বরিশাল নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। এতে প্তি হয়ে গতকাল শনিবার সকালে অসিম ও তার লোকজনে তাকে বিবস্ত্র করে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের পর খুঁটির সাথে বেঁধে রাখে।
এ ব্যাপারে ওই এলাকার ইউপি সদস্য অমল সেনের সাথের যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি খবর পেয়ে সকাল দশটার দিকে ঘটনাস্থলে গেলে উর্মিলা তার ওপর হামলা নির্যাতনসহ বেঁধে রাখার বিষয়টি আমার কাছে বলেন। তিনি উর্মিলার উদ্বৃতি দিয়ে আরো বলেন, সংবাদকর্মীরা ছবি তুলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করার পর পরই অসিমের লোকজনে উর্মিলার বাঁধন খুলে দিয়েছে। এ ঘটনায় ওই এলাকায় চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত অসিম বাড়ৈর সাথে একাধিকবার তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।