পরীক্ষা দেয়া হলোনা আরাফাতের

যাত্রীবাহি বাস চাপায় ঘটনাস্থলেই মারা যায় স্কুল ছাত্র আরাফাত খান।

মর্মান্তিক এ ঘটনাটি ঘটেছে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের গৌরনদী উপজেলার কটকস্থল নামকস্থানে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কটকস্থল গ্রামের ভ্যানচালক আমির হোসেন খান ও মরিয়ম বেগমের ৪ সন্তানের মধ্যে আরাফাত হচ্ছে সবার ছোট। বড় পুত্র ইমরান (১৪) ও আশরাফ হোসেন (১২) অভাবের সংসারে লেখাপড়া করতে না পেরে চায়ের দোকানে খাবারের বিনিময়ে (পেটেভাতে) কাজ করে। কন্যা সুর্বনা অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। নিহত আরাফাতকে কাজে না দিয়ে তাঁরাকুপি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত বছর ভর্তি করা হয়। প্রথম শ্রেনীতে কৃতিত্বের সাথে পাশ করে দ্বিতীয় শ্রেনীতে উর্ত্তীন হয় আরাফাত। গতকাল সোমবার ২য় সময়িক পরীক্ষা দেয়ার জন্য সকাল সাড়ে নয়টায় বাড়ি থেকে স্কুলে যাওয়ার জন্য রওয়ানা হয় আরাফাত। পথিমধ্যে বরগুনার পাথরঘাটা থেকে ঢাকাগামী যাত্রীবাহি প্রিন্স পরিবহন মহাসড়কের গৌরনদীর কটকস্থল এলাকা দিয়ে বেপরোয়া গতিতে যাওয়ার সময় পথচারী স্কুল ছাত্র আরাফাতকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই আরাফাত নিহত হয়।

গৌরনদী হাইওয়ে থানার ইনচার্জ মোঃ মোজাম্মেল হোসেন জানান, এ ঘটনায় ঘাতক বাসটিকে আটক করা হলেও ড্রাইভার ও হেলপার পলাতক রয়েছেন। তিনি আরো জানান, নিহত শিশুর অভিভাবাকরা আবেদন করায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহতর আত্মীয়-স্বজনরা কোন অভিযোগ না করায় এখনো কোন মামলা হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।