গৌরনদীতে একটি ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ

অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার বিস্তার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ব্যবস্থাপকের কর্মকান্ডে সাধারন গ্রাহকরা হয়রানীর স্বীকার হচ্ছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বরিশালের গৌরনদী উপজেলার জনতা ব্যাংক সরিকল শাখা ব্যবস্থাপক আবুল কালাম আজাদ ও ফিল্ড এসিস্টান্ড (ঋন কর্মকর্তা) নিরঞ্জন মন্ডলের যোগসোজসে গ্রাহকদের হয়রানি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে। সরিকল বন্দরের নুর আলম ট্রেডাসের মালিক নুর আলম বেপারী অভিযোগ করেন, তিনি বহুমুখি তদারকী ঋণের আওতায় গত বছর ১৬ আগস্ট ৬০ হাজার টাকা ঋণ পাওয়ার আবেদন করেন। ফিল্ড এসিস্টান্ড নিরঞ্জন মন্ডল ঋণ প্রস্তাব তৈরী করে তার কাছে ৩ হাজার টাকা উৎকোচ দাবি করেন। দাবিকৃত উৎকোচের টাকা না দেয়ায় নিরঞ্জন নানা তালবাহানা শুরু করেন। পরবর্তীতে শাখা ব্যবস্থাপক আবুল কালাম আজাদকে বিষয়টি জানালে তিনি ২ হাজার টাকা দাবি করে ৫’শ টাকা হাতিয়ে নেন। বাকি টাকা পরিশোধ না করায় ব্যবস্থাপক অদ্যবধি তার ফাইল আটকিয়ে রেখেছেন। অহনা মেডিকেলের মালিক মেহেদী হাসান বলেন, আমার টাকার বিশেষ প্রয়োজন হওয়ায় সম্প্রতি ৫০ হাজার টাকা ঋণের জন্য আবেদন করি। এ সময় নিরঞ্জন মন্ডল ৫ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। দাবিকৃত টাকা না দেয়ায় আমার ঋণ প্রস্তাব ফাইলটি তিনি আটকিয়ে রাখেন। মহিষা গ্রামের কৃষক রশিদ তরানী জানান, তিনি ৫০ হাজার টাকা ঋণ উত্তোলন করতে গেলে ম্যানেজার ও ফিল্ড এসিস্টান্ড নানা তালবাহানা শুরু করেন। পরবর্তীতে ৫ হাজার টাকা ঘুষ দিয়ে তিনি ঋণের টাকা উত্তোলন করেন। একইভাবে অভিযোগ করেন কৃষক ইউসুব মোল্লা ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সুজন বেপারীসহ অনেকেই। তারা আরো অভিযোগ করেন, উৎকোচের মাধ্যমে শষ্য, বহুমূখী তদারকি, বিশেষ চাকরিজীবি, স্বনির্ভর ঋণ প্রদান করা হয়। এছাড়া নতুন হিসাব খোলার ফরম বিক্রির নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে দুই শত টাকা করে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে। অভিযোগের ব্যাপারে ফিল্ড এসিস্টান্ড নিরঞ্জন মন্ডল বলেন, গ্রাহকদের আনীত অভিযোগের কোন সত্যতা নেই। অভিযোগ অস্বীকার করে শাখা ব্যবস্থাপক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঋণ আবেদনকারীরা ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী কাগজপত্র দিতে না পারায় তারা ঋণ না পেয়ে আমাদের বিরুদ্ধে উল্লেখিত মিথ্যে অভিযোগ এনেছেন। যার কোন সত্যতা নেই।