বানারীপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সরকার দলীয় সংসদ সদস্যর সংবাদ সম্মেলন

সদস্য সৈয়দ মনিরুল ইসলাম মনি গতকাল বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে বিষোদাগার করেছে। এতে বরিশাল-২ আসনের আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীদের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

উজিরপুর ডাকবাংলোতে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বানারীপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন আহবায়ক সুভাষ চন্দ্র শীল। লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়- চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মী ও সুবিধাভোগী কতিপয় আওয়ামীলীগের নেতাদের নিয়ে রাতরাতি দানবীর সেজেছেন।

বিগত সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরোধীতা করার অসংখ্য প্রমানাদি রয়েছে। এছাড়াও তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান হয়েও স্বাধীনতার স্বপক্ষের সরকারি ও দলীয় সকল কর্মকান্ডে অনুপস্থিত থাকেন। অথচ গত রমজান মাসে একটি ইফতার পার্টিতে জামায়াত নেতাদের সাথে একাত্ত হয়ে সরকার বিরোধী বক্তব্যের সাথে একমত পোষন করেন। সন্ত্রাসী হামলায় গত সপ্তাহে সংসদ সদস্য মনি আহত হওয়ার বিষয়টিকে তিনি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। হামলাকারীদের বাঁচাতে গোলাম ফারুক বিভিন্নস্থানে মিথ্যে প্রচারনা করে যাচ্ছেন।

সংসদ সদস্য সৈয়দ মনিরুল ইসলাম মনি বলেন, গোলাম ফারুক একজন অসাধু ব্যবসায়ী। ২০০৪ সালে তৎকালীন ক্ষমতাসীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে গোলাম ফারুক হেরোইন পাচারের সময় গ্রেফতার হন। তার কারনেই দলীয় নেতা-কর্মীদের মাঝে ভুলবোঝাবুঝি হচ্ছে। সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উজিরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল খালেক আজাদ, আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক অশোক হালদার, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল মজিদ সিকদার বাচ্চু, জেলা যুবলীগ নেতা রেজাউল করিমসহ স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

অপরদিকে সাংবাদিক সম্মেলনের পর পরই মোবাইল ফোনে বানারীপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক চ্যালেঞ্চ ছুড়ে দিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, সংসদ সদস্য মনি কর্তৃক তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তার একটিরও প্রমান দিতে পারলে ২৪ ঘন্টার মধ্যে আমি উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করবো।