আলোচিত সংখ্যালঘু কিশোরী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি জেল হাজতে

থাকার পর বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতে গত বৃহষ্পতিবার আত্মসমর্পণ করলে বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এঘটনা ওই সময় বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হলে বিশিষ্ট আইনজীবি ও সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেন ও তত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও মানবাধিকার নেত্রী সুলতানা কামাল আস্কর গ্রামের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছিলেন। ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, ২০০৭সালের ৬ মে রাতে উপজেলার আস্কর গ্রামের উপেন বল্লভের মেয়ে (১৬) ঘর থেকে রাতে বের হলে পার্শ্ববর্তী গ্রাম বারপাইকার সুলতান মোল্লার ছেলে কাইউম মোল্লা কিশোরীর মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

এসময় কিশোরী চিৎকার দিলে ধর্ষিতার মা শেফালী ও বাড়ির লোকজন মিলে ধর্ষককে আটক করে। পরে ধর্ষকের ভাই হাসান ও কাওছার মোল্লাসহ ৭/৮ জনের একটি দল ধর্ষিতার পরিবারের লোকজনকে মারধর করে কাইউম মোল্লাকে ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় ধর্ষিতার মা শেফালী বল্লভ বাদী হয়ে ২০০৭ সালের ২৪ মে আগৈলঝাড়া থানায় কাইউমকে প্রধান আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। পরে ওই মামলাটির তদন্তভার সিআইডিতে স্থানান্তর করা হলে তৎকালীন সিআইডি বরিশালের এসআই মোকলেসুর রহমান একই বছরের ৬ অক্টোবর আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। ঘটনার পর থেকে ওই মামলার প্রধান আসামী কাইউম মোল্লা দীর্ঘ ৩বছর পলাতক থাকার পর গত বৃহষ্পতিবার বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করার নির্দেশ দেন। আগামী ৫ অক্টোবর উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে জামিন শুনানীর পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়।