প্রায় বারো মাসই লোকজ সংগীত, গাজী-কালুর যাত্রাপালা, পুথি গান, রয়ানী গান, পালাগানসহ বিভিন্ন সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মুখরিত ছিলো। এলাকার যুবক ও তরুন সমাজ মিলে সমাজ সচেতনতার লক্ষে মঞ্চস্থ্য করতেন নামীদামি লেখকের নাটক। বিভিন্ন সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রতিযোগীতায় বরিশাল বিভাগসহ সারাদেশেই ছিলো গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া উপজেলার শিল্পীদের সুনাম। একমাত্র পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে পূর্বের সে সব শিল্পীরা আজ মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তারই সাথে এসব উপজেলা থেকে হারিয়ে গেছে গৌরবময় যাত্রাপালা ও সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
দীর্ঘদিন পরে হলেও হারিয়ে যাওয়া গৌরনদীর সংস্কৃতিকে ফিরিয়ে আনতে উপজেলার বাটাজোর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আর্য্য অপেরা নামের একটি যাত্রা শিল্পীগোষ্ঠি। ওই এলাকার সাংস্কৃতি মনা ও বাটাজোর বনিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রব হাওলাদার আর্য্য অপেরার পৃষ্ঠপোষকতা করছেন। তার মতে, এককালের ইতিহাস ঐতিহ্য সমৃদ্ধ বৃহতি গৌরনদীর হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতিকে ফিরিয়ে আনতেই তিনি আর্য্য অপেরা নামের যাত্রাশিল্পীগোষ্ঠি প্রতিষ্ঠা করেন। বাটাজোর কাটা গাছতলা সার্বজনীন পূজা মন্ডবের উন্নয়নের লক্ষে গত ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে বাটাজোর বন্দর সংলগ্ন হরহর এলাকায় আর্য্য অপেরার শুভ যাত্রা শুরু হয়। যাত্রা শিল্পের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতেই একঝাঁক তরুন ও অভিজ্ঞ যাত্রা শিল্পীদের নিয়ে আর্য্য আপেরার স্বত্তাধীকারী আব্দুর রব হাওলাদার যাত্রা গানের প্রদর্শনী করছেন।