ফসলী জমিতে মাটি ভরাট করে বিএনপি নেতার দোকান ঘর নির্মান

বিএনপি নেতা। এ ঘটনায় থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মাটি ভরাট কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিলেও প্রভাবশালী ওই বিএনপি নেতা মাটি ভরাট কাজ অব্যাহত রেখেছেন। ঘটনাটি বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর গ্রামের।


বাটাজোর গ্রামের মৃত রহম আলী খলিফার পুত্র আলী আকবর খলিফা নান্না অভিযোগ করেন, তার সহদর আল-আমিন খলিফা সম্প্রতি অতিগোপনে বাটাজোর মৌজার বিভিন্ন দাগের ২২ শতক সম্পত্তি বাটাজোর ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি আটক গ্রামের শাহজাহান হাওলাদারের কাছে বিক্রি করেন। এ খবর জানতে পেরে তিনি (নান্না খলিফা) বরিশাল বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে বিবাদী শাহজাহান হাওলাদারসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে প্রিয়ামশন মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে গত ১৯ সেপ্টেম্বর বিবাদীদের প্রতি শোকজের আদেশ প্রদান করে আগামি ৩০ দিনের মধ্যে কারন দর্শানোর নির্দেশ দেন।

এছাড়া কারন দর্শানোর পূর্বে উক্ত সম্পত্তির ওপর স্থিতিশীল অবস্থা বজায় রাখারও নিদের্শ দেয়া হয়। আদালতের নির্দেশ অমান্য করে শাহজাহান হাওলাদার গত ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে তফসিলভুক্ত ওই জমিতে মাটি ভরাটের কাজ শুরু করেন। এ সময় আলী আকবর নান্না খলিফা গৌরনদী থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন। থানার এস.আই মিজানুল হক গতকাল রবিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে আদালতের নির্দেশে বিবাদীদের মাটি ভরাট কাজ বন্ধ রাখার অনুরোধ করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল ত্যাগ করার পর পরই প্রভাবশালীরা আদালত ও থানা পুলিশের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাটি ভরাটের কাজ অব্যাহত রাখেন।

গৌরনদী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ নুরুল ইসলামের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আদালত অমান্যকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। অভিযোগ অস্বীকার করে বাটাজোর ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি আটক গ্রামের শাহজাহান হাওলাদার বলেন, আমার ক্রয়কৃত সম্পত্তি ভরাট করে দোকান ঘর নির্মান করছি।