আগৈলঝাড়ায় ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামীলীগের সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌঁড়ঝাপ

উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের সর্বত্র নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে। সম্ভাব্য আওয়ামীলীগ সমর্থীত প্রার্থীরা বিভিন্নস্থানে সামাজিক কর্মকান্ডে গিয়ে প্রার্থীতা ঘোষণা করছেন। কেউ আবার দলের সমর্থনের আশায় হাইকমান্ডের কাছে ধর্ণা দিচ্ছেন। আওয়ামীলীগের অনেক প্রার্থী স্থানীয় সংসদ সদস্যের সমর্থন লাভের জন্য জোর লবিং শুরু করেছেন। অনেকে আবার দলীয় সমর্থন না পেলেও বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন বলেী জানা গেছে। ক্ষমতাসীন দলের অনেকেই দল ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ইউপি নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য এলাকায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে সম্ভাব্য প্রার্থীরা এখন পর্যন্ত বিভিন্ন সভা সমাবেশ ও সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে তৎপরতা চালাচ্ছেন। কেউ কেউ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অনুদান দিচ্ছেন বলেও নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছেন। উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ১নং রাজিহার ইউনিয়নে সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকায় রয়েছেন আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান রমেশ চন্দ্র দাস, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি ও বিশিষ্ট সমাজ সেবক ইলিয়াস হোসেন তালুকদার, সাবেক কৃষকলীগ নেতা মতিউর রহমান হাওলাদার, আওয়ামীলীগ নেতা নিকুঞ্জ হালদার, সাইফুল ইসলাম শওকত।

২নং বাকাল ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান, আওয়ামীলীগ নেতা ও শিক্ষক যতীন্দ্রনাথ মিস্ত্রী, শ্রমিকলীগ নেতা ও গত উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী বিপুল দাস, উপজেলা শ্রমিকলীগ সভাপতি সোহেল ইমরোজ লিটন তালুকদার। তবে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আরও দু’ আওয়ামীলীগ সমর্থীত প্রার্থী হচ্ছেন বলেও শোনা যাচ্ছে। ৩নং বাগধা ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাবুল ভাট্টি ব্যবসায়িক কারণে অধিকাংশ সময় ঢাকা থাকায় এবারে তার অবস্থান ততটা ভাল নয় বলে শোনা যাচ্ছে। এখানে প্রার্থীতার কথা শোনা যাচ্ছে উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি কিশোর বিশ্বাস, উপজেলা যুবলীগ নেতা বজলুল হক মন্টু, সিরাজ হাওলাদারসহ আরও কয়েকজনের। ৪নং গৈলা ইউনিয়নে সম্ভাব্য তালিকায় রয়েছেন উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা ও বর্তমান ইউপি সদস্য মজিবর রহমান সেরনিয়াবাতসহ অনেকের নাম শোনা যাচ্ছে।

৫নং রতপুর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান হোসনেয়ারা বেগম রয়েছেন জনপ্রিয়তা হ্রাসের শীর্ষে। তিনি গত নির্বাচনে প্রয়াত স্বামী ও আওয়ামীলীগ নেতা জাহাঙ্গীর সেরনিয়াবাত মাখনের জনপ্রিয়তাকে পূঁজি তথা সহানুভূতি ভোটে নির্বাচিত হলেও সেটা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন চরমভাবে। এখানে প্রার্থীতার তালিকায় রয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি সদস্য মোস্তফা সরদার, আওয়ামীলীগ সমর্থীত শাহীন আলম টেনু, ঢাকা প্রবাসী গিয়াস উদ্দিন জামাল ও সাংবাদিক প্রবীর বিশ্বাস ননী। প্রার্থীতা নিয়ে ইতোপূর্বে রত্নপুরে আওয়ামীলীগ সমর্থীত শাহীন আলম টেনু ও গিয়াস হোসেন জামালসহ তাদের অনুসারীদের মধ্যে বিভিন্ন হামলা মামলা সংঘটিত হয়েছে। এখানে ঘাপটি মেরে থাকা কিছু সাবেক সর্বহারা সদস্য অতীতের মত এখানে নির্বাচনের সময় তাদের দাপট দেখাতে কুন্ঠাবোধ করবেনা। সবমিলিয়ে আওয়ামীলীগের এসব সম্ভাব্য প্রার্থীরা নির্বাচনের জন্য বিভিন্ন সময় ছবি সহ ক্যালেন্ডার বিতরণ, শুভেচ্ছা বিনিময়, সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগদান, কারও উপকারের জন্য না ডাকলেও এগিয়ে আসাসহ বিভিন্ন কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে আশা করা যাচ্ছে কিছুদিনের মধ্যেই ইউপি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হলেই এসব প্রার্থীদের তৎপরতা বেড়ে যাবে। তখন ক্ষমতাসীন দলের মধ্যে বিভিন্ন গ্রুপ সৃষ্টি হয়ে তাদের এ কার্যক্রম চালাবে বলে জানা গেছে।