জেলা জজের ভাই বলে কথা!!!

আদালতের নির্দেশ অমান্য করে জোরপূর্বক দখল করে নিয়েছেন এক মুক্তিযোদ্ধাসহ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যানের ২টি ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান। এ নিয়ে ওই এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার বিকেলে বরিশালের উজিরপুর উপজেলার খোলনা বাজারে।

ওই গ্রামের বাসিন্দা ও উজিপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক তালুকদার, ইউপি সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা তাঁতী এনামুল হক অভিযোগ করেন, ২০০৯ সালের ৩১ আগস্ট ও ৯ সেপ্টেম্বর তারা দু’জনে একই এলাকার মৃত জালাল উদ্দিন বেপারীর স্ত্রী আয়শা বেগম, পুত্র শাহজাহান বেপারী ও হাবিব বেপারীর কাছ থেকে খোলনা মৌজার ৩’শ নং দাগের (খোলনা বাজারের) সাড়ে ১১ শতক সম্পত্তি ক্রয় করেন। উক্ত সম্পত্তির ওপর অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের জন্য তারা চলতি বছরের ৫ মে বরিশাল সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। গত ১০ জুলাই আদালত কর্তৃক নিযুক্ত এডভোকেট, কমিশনার ও পুলিশের সহায়তায় উক্ত সম্পত্তির ওপর থেকে ৩ খানা অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করা হয়। পরবর্তীতে রাজ্জাক তালুকদার ও এনামূল হক ওই সম্পত্তির ওপর চারখানা দোকান ঘর নির্মান করে ভাড়া দেন। গত শুক্রবার বিকেল ৫ টার দিকে পাশ্ববর্তী হস্তিশুন্ড গ্রামের সিদ্দিক হাওলাদারের পুত্র হবিগঞ্জের জেলা জজ নজরুল ইসলামের ভাই মনির হোসেন উক্ত সম্পত্তির মালিকানা দাবি করে তার সহযোগীদের নিয়ে দোকান ঘর দখল করতে যায়। এসময় মনিরের সাথে তাদের বাকবিতন্ডা বাঁধে। এক পর্যায়ে মনির ও তার সহযোগীরা ২টি দোকান ঘরের ভাড়াটিয়াদের জোড়পূর্বক বের করে দিয়ে দোকান দুটি দখল করে নেয়। তাদের বাঁধা দিতে গেলে মুক্তিযোদ্ধা ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যানকে নানাধরনের ভয়ভীতিসহ মিথ্যে মামলায় জড়ানোর হুমকি দেয়া হয়।

বিষয়টি উজিরপুর থানা পুলিশকে জানানো হলে পুলিশ ওইদিনই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তারা আরো অভিযোগ করেন, মনির জেলা জজের ভাই হওয়ায় তার প্রভাব খাটিয়ে জোড়পূর্বক তাদের দোকান ঘর দখল করে নিয়েছেন। এ ব্যাপারে গতকাল শনিবার সকালে আব্দুর রাজ্জাক তালুকদার ও তাঁতী এনামুল হক উজিরপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। জেলা জজ ভাইয়ের প্রভাব খাটানোর অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত মনির হোসেন হাওলাদার বলেন, আমি চলতি বছরের ২ আগস্ট মৃত জালাল উদ্দিনের পুত্র লাল মিয়া বেপারীর কাছ থেকে ১০ শতক জমি ক্রয় করেছি। আমার ক্রয়কৃত সম্পত্তি আমি দখল করেছি।