সরকারি বরাদ্দ নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্ষোভ

এখানে ১৩৪টি পূজা মন্ডপে দূর্গা পূজা উদযাপন হবে। এরমধ্যে সরকারি বরাদ্দ পাওয়া গেছে ৫৭.৫ মেঃ টনঃ চাল। যার গত বছরের তুলনায় খুবই নঘন্য। এ নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিস ও পূজা উদযাপন কমিটি সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে গতবারের চেয়ে ১০টি পূজা মন্ডপে এবার বেশী পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। গতবছর উপজেলায় ১২৪টি পূজা মন্ডপের অনুকূলে ১২৪ মেঃ টন চাল বরাদ্দ করেছিল সরকার। এ বছর ১০টি পূজা মন্ডপ বেড়ে সংখ্যা দাড়িয়েছে ১৩৪টিতে, বরাদ্দ পাওয়া গেছে ৫৭.৫ মেঃটন চাল। এর মধ্যে রাজিহার ইউনিয়নে ৩৯টি, বাকালে ৩১টি, বাগধায় ১৮টি, গৈলায় ২৩টি ও রতœপুর ইউনিয়নে ২২ টি পূজা মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। সূত্রমতে, সার্বজনীন পূজা মন্ডপের সংখ্যা ১১২টি এবং ব্যক্তিগত পূজা মন্ডকের সংখ্যা ২১টি। এর মধ্যে ৩টি পূজা মন্ডপে সরকারী সাহায্য বরাবরের মতো এবারও নেবেনা বলে জানাগেছে। স্থানীয় বাজার মূল্য অনুযায়ী সর্বনিম্ন প্রতিটন চাল ২২হাজার টাকা দরে প্রতি পূজা মন্ডপে ২৩৩ কেজি চাল বরাদ্দ পাবে। সে হিসেবে প্রতি মন্ডপে গড়ে ৪ হাজার ৬শত ৬০ টাকা সরকারী বরাদ্দ পাওয়া গেছে। কঠোর নিরাপত্তা ও সুষ্ঠ ভাবে পূজা সম্পাদনের জন্য ইতোমধ্যেই প্রশাসন ব্যপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। এছাড়াও ৩১ সদস্য বিশিষ্ট উপজেলা কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন কমিটি  গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটির সভাপতি হলেন অরুণকৃষ্ণ হালদার ও সাধারণ সম্পাদক সুনীল কুমার বাড়ৈ। সরকারী একটি দ্বায়ীত্বশীল সূত্রমতে, পূর্বে বরিশাল জেলা প্রশাসক আগৈলঝাড়া উপজেলার অনুকূলে ১৬০ মেঃ টন চাল বরাদ্দের ঘোষণা দিলেও সরকারী গুদামে চালের মজুদ কম থাকায় তা কমিয়ে অর্ধেকের কম ৫৭.৫ মেঃ টন চাল বরাদ্দ নিশ্চিত করেছে। এখবরে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও হতাশা নেমে এসেছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপংকর বিশ্বাস জানান, পূজার তুলনায় ঘোষণা অনুযায়ী বরাদ্দ না পাওয়ায় মন্ডপীরা হতাশ। বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য এ্যাড. তালুকদার মো. ইউনুসের মাধ্যমে জেলা প্রশাসককে অবহিত করা হয়েছে। তিনি পূজার জন্য বরাদ্দ বাড়তে পারে বলে আশাবাদ ব্যক্তকরেন। পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুনীল কুমার বাড়ৈ জানান, সরকারী যা বরাদ্দ পাওয়া গেছে তা সমহারে প্রত্যেক মন্দির কমিটির সভাপতির অনুকূলে পৃথক পৃথক ডিও লেটার ইস্যু করা হবে।