বরিশালের এমপি মনির ঘনিষ্ঠ সহচর সর্বহারা নেতাসহ ৩ জন গ্রেপ্তার

নিষিদ্ধ ঘোষিত সর্বহারা কামরুল গ্রুপের আঞ্চলিক নেতাসহ তিনজনকে র‌্যাব সদস্যরা গ্রেপ্তার করেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে উজিরপুরের নারায়নপুর বাজারে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে এমপি মনির ঘনিষ্ঠ সহচর ও বানারীপাড়ার পশ্চিম ঢহরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মিজানুর রহমান মিজান, সর্বহারা নেতা আততায়ীর গুলিতে নিহত কানা বাদলের সহদর নান্নু খান ও বানারীপাড়ার রেজ্জাকপুর গ্রামের জালিব হোসেন।

বরিশাল র‌্যাব-৮’র মেজর রাশেদুজ্জামান রাশেদ জানান, উজিরপুর ও বানারীপাড়া উপজেলার চরমপন্থী, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের ধরতে গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকেই র‌্যাবের একটি বিশেষ টিম ওই এলাকায় অভিযান চালাচ্ছেন। অভিযানে ইতোমধ্যে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার সকাল নয়টার দিকে উজিরপুরের নারায়নপুর বাজারের একটি দোকানে বসে মিজানুর রহমান মিজান, নান্নু খান ও জালিব একত্রিত ভাবে গোপন আলোচনা করছিলো। এসময় র‌্যাবের উপস্থিতি টেরপেয়ে তারা দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। র‌্যাব সদস্যরা ধাওয়া করে তাদেরকে আটক করে। সূত্রে আরো জানা গেছে, আটককৃত মিজান মহাজোট সরকার গঠন করার পর এমপি মনিরুল ইসলাম মনির এপিএস’র দায়িত্ব পান। এপিএসের দায়িত্ব পেয়ে তিনি উজিরপুর ও বানারীপাড়ায় বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িয়ে পরেন। এসব কারনে সম্প্রতি তাকে এপিএস’র পদ থেকে চাকুরিচ্যুত করেন এমপি মনি। অপর আটককৃত নান্নু খানের বড় ভাই সর্বহারা কামরুল গ্র“পের আঞ্চলিক নেতা কানা বাদল। সম্প্রতি আততায়ীর গুলিতে কানা বাদল নিহত হয়। তার মৃত্যুর পর দলের সকল দায়িত্ব পান নান্নু। উজিরপুরের মূর্তিমান আতংক হিসেবে নান্নু খান পরিচিত। এলাকায় সন্ত্রাসী চাঁদাবাজি, মাদকের হোল সেলারসহ নানাবিধ অপকর্মের হোতা হচ্ছেন নান্নু। আওয়ামীলীগ সরকার গঠন করার পর পরই এমপি মনির আস্তাভাজন হয়ে উঠে নান্নু। এ কারনে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে সে সহসাই পার পেয়ে যেত। আটককৃত জালিব হচ্ছে নান্নুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী।