মুক্তিযোদ্ধা পিতার স্বীকৃতি চান জাহিদ ও বিপ্লব

জাহিদ ও তার সহদর সোলায়মান খান বিপ্লব। বি.এ পাশ করেছেন বিপ্লব, জাহিদ এইচ.এস.সি পাশ করেন। পিতার মৃত্যুর পরে অর্থাভাবে আর তাদের লেখাপড়া হয়নি। এখন তারা দু’ভাই-ই বেকার অবস্থায় রোগাক্রান্ত মাকে নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। একটি চাকরির জন্য হন্যে হয়ে ঘুরেও তারা কোন সুফল পায়নি।

তার বাবা মোঃ আবুল কাসেম খান একাত্তরের রণাঙ্গন কাঁপানো যোদ্ধা ছিলেন। অথচ মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সেই স্বীকৃতিটুকু পাননি তার বাবা। শুধু স্বীকৃতিটুকু থাকলে খুব সহজে সেটিকে কাজে লাগিয়ে হয়তো কোন কর্মসংস্থান তৈরি হতো তাদের।

বরিশালের গৌরনদী প্রেসক্লাবে হাজির হয়ে রাসেল খান জাহিদ বলেন, কালকিনি উপজেলার সাবেহরামপুর ইউনিয়নের ক্রোকিরচর গ্রামে তাদের বাড়ি। তার পিতা ছিলেন জনতা ব্যাংকের ঢাকার ডি.আই.টি কার্যালয়ের সিনিয়র অফিসার। সে সুবাধে ছোট বেলা থেকেই তারা ঢাকায় বসবাস করছেন। ১৯৯৬ সালে ৬ জুন জাহিদের পিতা মোঃ আবুল কাসেম খান মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতির জন্য চেষ্টা করেছেন। তিনি মারা যাওয়ার পরেও তার স্ত্রী জীবন নেছা খানম মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছেন। যোগাযোগ করেছেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলেও। অনেক আকুতি মিনতিও করেছেন কিন্তু কেউ সাঁড়া দেয়নি।

আবুল কাসেম খান ভারত থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহন করে দেশে ফিরে কালকিনি থানার মুজিব বাহিনীর কমান্ডার জালাল উদ্দিনের নেতৃত্বে নিজের জীবন বাজি রেখে রণাঙ্গণে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। সে হিসেবে মুজিব বাহিনীর আঞ্চলিক অধিনায়ক তোফায়েল আহম্মেদের স্বাক্ষরিত সনদপত্র রয়েছে তার। এছাড়াও তার সহযোদ্ধারা এখনো রয়েছেন জীবিত।

রাসেল খান জাহিদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সকল কাগজপত্র মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয়ে জমা দেয়া সত্বেও কেন আমার বাবাকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেয়া হয়নি সরকারের কাছে আমি তার জবাব চাই। সেই সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবেও আমরা স্বীকৃতি চাই।