যুবলীগ নেতার চক্ষু উৎপাটন ও দু’পা ভেঙ্গে ফেলেছে বিএনপির সন্ত্রাসীরা

সভাপতি ও গ্রাম পুলিশ বাদশা খানের ওপর গতকাল শুক্রবার সকালে বিএনপির চিহিৃত সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে চক্ষু উৎপাটন করে দু’পা ভেঙ্গে দিয়েছে। আশংকাজনক অবস্থায় তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহতর পরিবার ও এলাকাবাসি সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দূর্গাপাশা ইউনিয়নের জিরাইল গ্রামের মৃত্যু আবুয়াল কাশেম খানের পুত্র ও দূর্গাপাশা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি এবং দূর্গাপাশা ইউনিয়নের গ্রামপুলিশ বাদশা খান (৪২)। একবছর পূর্বে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা বাদশার পিতাকে হত্যা করে। দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসীরা বাদশাকেও হত্যার চেষ্টা চালায়। প্রতিদিনের ন্যায় গতকাল শুক্রবার সকাল আটটার দিকে বাদশা জিরাইল বাজারের মোজ্জামেল হোসেনের দোকানে সকালের নাস্তা খাচ্ছিলেন। এ সময় আকস্মিক ভাবে দূর্গাপাশা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি ও চিহিৃত সন্ত্রাসী দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে আব্দুর রব খান, কাইয়ুম হোসেন, আব্দুর রশিদ, জাকির খান, শাজাহানসহ ১৫/২০ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে যুবলীগ নেতা বাদশার ওপর অর্তকিত ভাবে হামলা চালিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা সুই দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে তার দু’চোখ তুলে ও দু’পা ভেঙ্গে দেয়। বাদশার আত্মচিৎকারে জিরাইল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুস ছাত্তার শিকদার ও দোকানদার মোজ্জামেল হোসেন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা তাদেরকেও বেদম প্রহার করে। কুপিয়ে জখম করে ছাত্তার শিকদারকে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মুমুর্ষ অবস্থায় যুবলীগ নেতা ও গ্রাম পুলিশ বাদশা খানকে উদ্ধার করে ওইদিন বেলা এগারোটায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করে। শেবাচিম হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক শহিদুল আলম জানান, বাদশার অবস্থা আশংকাজনক। নির্যাতনে তার কোমর ও দু’পা ভেঙ্গে গেছে। এছাড়া সুই দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে তার দু’চোখ নষ্ট করে দেয়া হয়েছে।

জিরাইল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আহত ছাত্তার শিকদার জানান, দেলোয়ার ও কাইয়ুম খানের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা ২০০৯ সালে গ্রাম পুলিশ বাদশার পিতাকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। অস্ত্রধারী ওইসব সন্ত্রাসীদের ভয়ে এলাকার লোকজন মুখখুলতে সাহস পাচ্ছেন না। সন্ত্রাসী হামলায় আহত অপর দু’জনকে বাকেরগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

দূর্গাপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম বলেন, এরআগে বাদশার পিতাকেও একই সন্ত্রাসীরা হত্যা করেছে। সন্ত্রাসীদের চাপের মুখেই বাদশা হত্যা মামলাটি মিমাংসা করতে বাধ্য হয়েছে। তিনি আরো বলেন, বাদশার পিতাকে যারা হত্যা করেছে তারাই বাদশাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এ পৈশাচিক নির্যাতন চালিয়েছে। এ ব্যাপারে বাকেরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি এম.সাইফুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ব্যাপারে এখনো কেউ কোন লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।