ছাত্রদল ক্যাডারদের হামলায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে ছাত্রলীগ নেতা

লড়ছেন বরিশালের গৌরনদী উপজেলার চাঁদশী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ রুম্মান। হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় আগৈলঝাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। আসামিরা বীরদর্পে এলাকায় ঘোরাফেরা করলেও মামলা দায়েরের ১০দিন পরেও রহস্যজনক কারনে পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেফতার করেননি। এ নিয়ে ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

গৌরনদী হাসপাতালে ভর্তি আহত উপজেলা ছাত্রলীগের সহসম্পাদক এস.এম জুলহাস জানান, গত ১৫ অক্টোবর রাতে কোটালীপাড়ার রামশীল এলাকা থেকে দূর্গা পূজার অনুষ্ঠান শেষে তারা তিনটি মোটরসাইকেলযোগে গৌরনদীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। পথিমধ্যে রাত দেড়টার দিকে আগৈলঝাড়া উপজেলার ছবিখাঁরপাড় নামকস্থানে পৌঁছলে একদল সন্ত্রাসী ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে তাদের গতিরোধ করে অর্তকিত ভাবে হামলা চালায়। সন্ত্রাসীদের এলাপাথারী হামলা ও ধারলো অস্ত্রের আঘাতে গৌরনদী উপজেলা ছাত্রলীগের সহসম্পাদক এস.এম জুলহাস, চাঁদশী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ রুম্মান, ছাত্রলীগ কর্মী জাহিদ হোসেন, হাসান সরদার, জহিরুল ইসলাম ও জুলহাস সরদার রক্তাক্ত জখম হয়। এসময় সন্ত্রাসীরা ছাত্রলীগ নেতাদের ব্যবহৃত তিনটি মোটরসাইকেল ব্যাপক ভাংচুর করে সাথে থাকা নগদ অর্থ, ব্যবহৃত স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ছাত্রলীগ নেতাদের ডাকচিৎকারে পাশ্ববর্তী বাড়ির লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা বীরদর্পে স্থান ত্যাগ করে। স্থানীয়রা মুমুর্ষ অবস্থায় আহতদের উদ্ধার করে গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ছাত্রলীগ নেতা সৈয়দ রুম্মানকে গত ২০ অক্টোবর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তার অবস্থা আশংকাজনক।

এ ঘটনায় গত ১৬ অক্টোবর ছাত্রলীগ নেতা সৈয়দ রুম্মান বাদি হয়ে হামলাকারী সন্ত্রাসী ও ছাত্রদল ক্যাডার নবীন শাহ, রনি শাহ, মাসুদ হোসেন, মিজান হাওলাদারসহ ১০ জনকে আসামি করে আগৈলঝাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করলেও পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেননি।