ওরা ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী

করেছে প্রেমিকাসহ ও তার পরিবারের তিনজনকে। এ ঘটনায় গত সোমবার রাতে থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার দুপুরে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত পশ্চিম বয়সা গ্রামে।

ওই গ্রামের দিনমজুর আতাহার আলী ওরফে আতাই সরদারের কন্যা ফাহিমা আক্তার (১৬) অভিযোগ করেন, গত একবছর পূর্বে তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে একই গ্রামের নোয়াবআলী সরদারের ভাগ্নে কালকিনির মাইজপাড়া গ্রামের মিয়াজউদ্দিন হাওলাদারের পুত্র রেজাউল করিমের (১৮) সাথে। প্রেমের সম্পর্কের কথা জানাজানি হলে ফাহিমাকে প্রেমের পথ থেকে সড়ে দাঁড়াতে রেজাউলের মামা ও তার পরিবারের লোকজনে বিভিন্নরকম হুমকি দিয়ে আসছিলো। ফাহিমা অভিযোগ করে বলে, গত সোমবার দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে বাড়ির পাশ্ববর্তী পুকুর থেকে আমি গোসল করে ঘরে ফেরার পথে নোয়াবআলীর ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী হেমায়েত সরদার ও নিবাশ্বা সরদার আমার পথরোধ করে। এক পর্যায়ে তারা বলে আমি যেন রেজাউলকে ভুলে যাই। এসময় তাদের সাথে আমার কথার কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তারা আমাকে মারধর শুরু করে। এসময় ডাকচিৎকারে আমার বাবা আতাহার সরদার, মা ভানু বিবি ও ভাবি পারুল বেগম এগিয়ে আসলে তাদেরকেও মারধর করা হয়। এঘটনায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে বিচার দিয়ে ব্যর্থ হয়ে সোমবার রাতে গৌরনদী থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত হেমায়েত সরদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি উপস্থিত ছিলাম কিন্তু মারধর করিনি। তবে মারধর করেছে নিবাশ্বা।