এ কেমন বর্বরতা!

হোসেন টিটু (১৫)। প্রতিপক্ষের লোকজনে ওই পরীক্ষার্থীর মুখের ভেতরে গামছাগুজে ধারালো ব্লেড দিয়ে তার পুরো শরীর ক্ষত বিক্ষত করেছে। স্থানীয়রা মুমুর্ষ অবস্থায় আহত টিটুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। নির্মম এ বর্বরতার ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর ইউনিয়নের শৌলকর গ্রামে।



স্থানীয় ও আহত সূত্রে জানা গেছে, ওই গ্রামের লতিফ হাওলাদারের পুত্র ও বাটাজোর অশ্বিনী কুমার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এস.এস.সি পরীক্ষার্থী সাব্বির হোসেন টিটু। তাদের বাড়ির প্রবেশ পথে বর্ষার পানি জমে থাকায় টিটু বুধবার দুপুরে পার্শ্ববর্তী বাড়ির খালেক হাওলাদারের জমির ভেতর দিয়ে বাইসাইকেল নিয়ে তাদের বাড়িতে প্রবেশ করে। এতে খালেকের স্ত্রী কহিনুর বেগম ক্ষিপ্ত হয়ে টিটুকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। টিটু এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে খালেক হাওলাদারের ভাইয়ের ছেলে দবির হাওলাদার টিটুর ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। ওইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে টিটু বাটাজোর বাজার থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়।  পথিমধ্যে সে ওই এলাকার দাসের বাড়ির সম্মুখে পৌঁছলে দবির হাওলাদারের নেতৃত্বে শাহজালাল হাওলাদার, দেলোয়ার সরদার, জাহাঙ্গীর হোসেনসহ ৬/৭ জন সন্ত্রাসী টিটুকে ঝাঁপটে ধরে তার মুখের ভেতর গামছাগুজে দেয়। একপর্যায়ে ধারালো ব্লেড দিয়ে ওই সন্ত্রাসীরা টিটুর সমস্ত শরীর ক্ষত বিক্ষত করে। এসময় টিটু অচেতন হয়ে পরলে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় সন্ত্রাসীরা তাকে রাস্তায় ফেলে চলে যায়। ওইদিন রাত সাড়ে আটটার দিকে পথচারিরা টিটুকে উদ্ধার করে মুমুর্ষ অবস্থায় গৌরনদী হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ব্যাপারে টিটুর পিতা লতিফ হাওলাদার বাদি হয়ে ওইদিন রাতেই গৌরনদী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।