নব্য আইনেষ্টাইন(জনগণ) এর বোধদয় ও কিছু কথা

বেড়ার ছোট একটি ফুঁটো দিয়ে একটি গরুর লেজ বাহিরে বেরিয়ে আছে। আইনেষ্টাইন ভাবতে লাগলো এতো ছোট একটি ফুঁটো দিয়ে গরুটি ঘরের ভিতরে কি করে প্রবেশ করল। লোক মুখে শোনা যায় আইনেষ্টাইনের মাথা নাকি সাধারন মানুষ এর চাইতে বড় ছিল। প্রবাদে আছে-যত বড় মাথা ততো বড় ব্যথা। দৈবক্রমে ঘটনাটি পৌছে যায় রাজনীতিজ্ঞদের কাছে। আইনেষ্টাইনের মাথা ব্যথা বলে কথা। যার জন্য গণভবন,বঙ্গভবন,পতাকা শোভিত গাড়ি ইত্যাদি-ইত্যাদি পুরোটাই ফ্রি-ফ্রি-ফ্রি…… তার মাথা ব্যথা? সবাই ছুটে চললো আইনেষ্টাইনের কাছে যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে যেমন-লগি-বৈঠা,কাস্তে,লাঙ্গল এর ফলা,দারি-পাল্লা,কুলা,ফুল,পখি,মাছ অনান্য যা কিছু ছিলো। সবচাইতে মজার ব্যপার হলো একজন গেল গামছা নিয়ে। মানে গামছা দিয়ে লেজটি বেধে গরুটিকে বহিরে টেনে এনে আইনেষ্টাইনকে বোঝাতে কি করে গরুটি ঘরের ভিতরে গেল।

যাই হোক সকল রাজনৈতিক দল তড়িত গতিতে পৌছে গেল ঘটনা স্থলে। তার আগে আবশ্য ঘটনা স্থলে পৌছে গেল আমাদের (জ্যোতিষবিদ্যায় পারদর্শী) ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার লোকজন। তারা বিদ্যাগুনে আগেই থেকই জানে কোথায় কি ঘটতে যাচ্ছে। আবশেষে শুরু হলো আইনেষ্টাইনকে বুঝিয়ে নিজ দলের পাল্লা ভারি করতে যুক্তি পাল্টা যুক্তি। এরপর শুরু হলো (আগের/পরের/সংশোধিত) সংবিধান এর ব্যাখ্যা। এ অবস্থায় দেখা গেল নিরাপদ দুরত্বে এক দল(সুশীল?)যাদের পকেটে সব সময় সামাজিক সমস্যা বিষয়ে গোটা পঁচিশেক ব্যানার থাকে। সেখান থেকে একটি ব্যানর বের করে বসে গেলো গোলটেবিল বৈঠকে যাতে বড় করে লেখা ছিল- ছ্যাঁ……ছ্যাঁ…..ছ্যাঁ….ছ্যাঁ……। আর প্রশাসন(পুলিশ)এর আবস্থা- প্রায় ষোল কোটি মানুষে তুলনায় সংখ্যা খুবই কম তার উপরে মন্ত্রী গংদের প্রটোকল দিতে দিতে কাহিল। তাই এ সুযোগে একটু নাকে তেল দিয়ে ঘুমালে মন্দ হয়না। বাক-বিতান্ড যখন হাতাহাতিতে রুপ নিলো বেচারা আইনেষ্টাইন আত্মরক্ষা করতে এদিক সেদিক ভাগতে-ভাগতে গোয়ল ঘরের দরজার সন্ধান পায় এবং ভিতরে প্রবেশ করে। সেখনে গিয়ে দেখ পেলো আসংখ্য গরু/ছাগল/ভেড়া/মহিষ। আইনেষ্টাইনের বোধদয় হয় যে ঘরের তুলনায় এদের সংখ্যা বেশি হওয়াতে লেজটি যেকোন ভাবে বাহিরে বেড়িয়ে য়ায়। গরুটি ছোট ফুটা দিয়ে ঘরে প্রবেশ করেনি প্রবেশ করেছে দরজা দিয়ে। এতো সব কান্ড ও মহাকান্ডের পরেও প্রাপ্তি খুবই আশাব্যঞ্জক সেটা হচ্ছে আইনেষ্টাইনের বোধদয়।

ফিরে আসি মূল কথাতে- স্বাধীনতার পরে এ দেশের সাধারন মানুষ গনতন্ত্রের নামে বিভিন্ন শ্রেণীর শাসক এর শোষণ এর জাতকলে পিষ্ট হয়ে এখন বুঝতে শিখেছে কে বা কারা আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়েছে। কে বা কারা বার বার জনগণকে কলা দেখিয়ে ক্ষমতায় আসছে। কে বা কারা দরিদ্র মানুষে রক্ত চুসে নোবেল পাচ্ছে। কারা ধর্মের নামে সোলেমানিয়া দাওয়াখানা খুলে তাবিজ বিক্রি করছে। সে দিন খুব দুরে নয় যে জনগণ ঘুরে দাড়াবে। সমাজের নেতৃত্ব দিবে সেই সকল সংগ্রমী মানুষ যারা শত প্রতিকুলতার মাঝেও সত্য ও ন্যায়ের আলোকে নিভতে দেয়নি। প্রতিনিয়ত আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে প্রজন্মের মাঝে। সত্যাশ্রায়ী এ মানুষ গুলোর হাতকে যদি আমরা শক্ত করে ধরি এ দেশ আলোকিত হয়ে উঠবেই।