জেলা ও মহানগর যুবলীগের ১১ নেতাকর্মীকে সাময়িক বহিস্কার

সড়কের শহীদ রহিম সেবা সংঘে অগ্নিসংযোগ এবং নগরীতে মহড়া দিয়ে জনমনে ভীতি সঞ্চারের অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় জেলা ও মহানগর যুবলীগের ১১ জন নেতাকর্মীকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহ-দপ্তর সম্পাদক ফজলুল হক আতিক স্বাক্ষরিত এবং গত বৃহস্পতিবার রাতে ফ্যাক্সযোগে প্রেরিত এক বহিস্কারাদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সাময়িক বহিস্কৃতরা হলো- জেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক আবুয়াল হোসেন অরুন, মহানগর যুবলীগ সদস্য জাকির আলম ডলার, আজিম সরোয়ার দিদার, এসএম শহীদুল্লাহ রেজভী, নিজামুল হক তপু, ফজলুর রহমান শরীফ, সাইফুল ইসলাম সায়েম, যুবলীগ নেতা মেজবাহ উদ্দীন দিপু (১৪নং ওয়ার্ড আ’লীগ সভাপতি), আসিফ ইকবাল শাওন, ১১নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা সিকদার হাবিব ও ২৩নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা এনামুল হক বাহার। অরাজনৈতিক ও উশৃঙ্খল কর্মকান্ডে সংশ্লিস্টতার অভিযোগে গঠনতন্ত্রের ২২ ধারার (ক) উপধারা বলে ৪ নভেম্বর থেকে তাদের বহিস্কার কার্যকর হবে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ফ্যাক্সযোগে বার্তা প্রেরক কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহ-দপ্তর সম্পাদক ফজলুল হক আতিক বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করেছেন। রাত পৌঁনে ৯টায় মোবাইল ফোনে আলাপকালে ফজলুল হক আতিক বলেন, ২ আগস্টের ঘটনায় সংশ্লিস্টতা থাকায় কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাদের সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২ আগস্ট ঢাকায় নিজামুল ইসলাম নিজামের উপর হামলার প্রতিবাদে ওই রাতেই নগরীতে মটর সাইকেল মহড়া বের করে যুবলীগের একাংশ। তারা রামদা, হকিষ্টিক, লাঠি ও আগ্নেয়াস্ত্র উচিয়ে ৩০/৩৫টি মোটর সাইকেলের মহড়া নিয়ে নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালে যানবাহন ভাংচুর, রাস্তায় টায়ারে অগ্নি সংযোগ, ফাঁকা গুলিবর্ষন ও শ্রমিকদের ভয়ভীতির প্রর্দশন করে। সেখানে থেকে অস্ত্রধারীরা মোটর সাইকলে মহড়া নিয়ে নগরীর কালুশাহ্ সড়কে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন চুন্নুর বাসার সামনে যায়। চুন্নুর বাসা লক্ষ্য করে তারা ৫ রাউন্ড গুলিবর্ষন করে। এর পর ওই রাতেই হামলাকারীরা সাবেক ছাত্রলীগ নেতা চুন্নুর বাসা সংলগ্ন তার নিয়ন্ত্রনাধীন ‘শহীদ রহিম স্মৃতি সেবা সংঘ’ ক্লাবে হামলা চালিয়ে আসবাবপত্র এবং বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুর করে। এক পর্যায়ে ক্লাবের আসবাবপত্রে অগ্নিসংযোগ করে তারা। এরপর রাতেই তারা পুলিশ লাইনের সামনে জড়ো হয়ে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ শ্লো¬াগান দিয়ে নিজামের উপর হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে।

এ ঘটনায় কোতয়ালী থানায় একটি এবং বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। বহিস্কৃতরা ওই দুটি মামলায় এজাহারভুক্ত আসামী। বহিস্কৃত জেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক আবুয়াল হোসেন অরুনের সাথে যোগাযোগের চেস্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তা সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে জেলা যুবলীগের সভাপতি জাকির হোসেন বলেন, কেন্দ্রীয় যুবলীগ যে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তারা ২ আগস্টের ঘটনা তদন্ত করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ ব্যাপারে জেলা যুবলীগের বক্তব্য দেয়ার কিছু নেই। মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক নিজামুল ইসলাম নিজামের সাথে যোগাযোগের জন্য একাধিকবার রিং দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।