অ্যানথ্রাক্স আতংক কেটে জমে উঠছে গৌরনদীর গো-হাট

ঘনিয়ে আসছে এখানকার গো-হাটেও ক্রেতা-বিক্রেতার সংখ্যা ততো বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

বরিশালসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহৎ গো-হাট হচ্ছে গৌরনদীর কসবায়। তাই গৌরনদীসহ পাশ্ববর্তী আগৈলঝাড়া, উজিরপুর, কালকিনি, মুলাদী, বাবুগঞ্জসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে কসবা গো-হাটে গরু ক্রেতা বিক্রেতারা আসতে শুরু করেছেন।

তবে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, গত ঈদুল আযহার তুলনায় এ বছর হাটে গরু বিক্রি অনেকাংশে কম হচ্ছে। কসবা গো-হাটে গিয়ে দেখা গেছে, এবছর বড় আকারের গরুর চেয়ে মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা অনেক বেশি। আজাহার উদ্দিন নামের এক গরু ব্যবসায়ী জানান, গত বারের চেয়ে এ বছর প্রত্যেকটি গরুর দাম ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ী আব্দুর রব সরদার জানান, অ্যানথ্রাক্স আতংকের কারনে এবার গরুর মালিকদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। তবে গতবারের চেয়ে গরুর খাদ্যের দাম এবার অনেক বেশি। প্রথমদিকে ব্যবসার অবস্থা খারাপ থাকলেও বর্তমানে ক্রেতার সংখ্যা লক্ষনীয় ভাবে বাড়ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

কসবা গো-হাট ছাড়াও উপজেলার সরিকল বন্দরে স্থায়ী ও ঈদুল আযহা উপলক্ষে আশোকাঠী হ্যালিপ্যাড, মাহিলাড়া, বাটাজোর, হোসনাবাদ ও ছয়গ্রাম এলাকায় এখন প্রতিনিয়িত অস্থায়ী গরুর হাট বসানো হয়েছে।