ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কামার পাড়ার শ্রমিকেরা

কামার পাড়ার শ্রমিকেরা। দিন-রাত সমান তালে তারা এখন ছুরি, চাপাতি, দা, বঁটি তৈরি ও শান দেয়ার কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। সবমিলিয়ে এখানকার কামার পাড়ায় এখন ঈদের আমেজ শুরু হয়ে গেছে।  

গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া, বাকাই, খাঞ্জাপুর, বাটাজোর, সরিকল, হোসনাবাদসহ বেশ কয়েকটি কামারপাড়া ঘুরে দেখা গেছে, কামারের দোকানগুলোতে তৈরি হচ্ছে দা, বটি, চাপাতি ও ছুরি। কামারপাড়ার শ্রমিকেরা এসব যন্ত্রপাতি তৈরিতে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন। মাহিলাড়া বাজারের কামারের দোকানের শ্রমিক বিপুল অধিকারী জানান, কোরবানির ঈদের সময় তাদের বিকিনিকি বেশি হয়। বছরের অন্যান্য সময় তেমন কোন কাজ থাকে না। গত ৩/৪ বছর যাবত লোহার দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় দা, ছুরি, চাপাতি ও বটির দাম বেশ বেড়ে গেছে। বাকাই বাজারের কামার নিতাই মালাকার বলেন, এখন পুরনো দা, বটি, ছুরি, চাপাতি শান দিয়েই প্রতিদিন এক থেকে দেড় হাজার টাকা আয় করছি। আর নতুন যন্ত্রপাতিও বিক্রিও হচ্ছে। তবে ঈদ উপলক্ষে এ বাড়তি আয় হচ্ছে বলেও তিনি উলেখ করেন।

উপজেলার বাটাজোর, মাহিলাড়া ও টরকী বাজারের দা-বটির, ছুরি-চাপাতির অস্থায়ী দোকানে গিয়ে জানা গেছে, তাদের কাছে পশু কোরবানির দেশী সবযন্ত্রই রয়েছে। তবে লোহার দাম বেশী থাকায় যন্ত্রপাতির দামও একটু চড়া। বড় সাইজের ছুরি দেড় থেকে দুই’শ টাকা, মাঝারি সাইজের ছুরি এক থেকে দেড়’শ টাকা আর ছোট সাইজের ছুরি ৫০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিভিন্ন সাইজের চাপাতি বিক্রি হচ্ছে আড়াই’শ থেকে ৫’শ টাকা করে।