হারতা সড়কের আড়াই লক্ষ টাকার গাছ কেটে নিয়েছে যুবলীগ কর্মীরা

সড়কের ১৬ টি সরকারি গাছ কেটে নিয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য আড়াই লক্ষ টাকা। এ ঘটনায় পুলিশ তিন জনকে গ্রেফতার করে অজ্ঞাত কারনে ছেড়ে দেয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও সংস্লিস্ট সূত্রে জানা গেছে, উজিরপুর উপজেলা বন বিভাগ ১৯৯৯ সালে উজিরপুর উপজেলার উজিরপুর সাতলা সড়কে উপকুলীয় সবুজ বেস্টনী প্রকল্পের অধীনে বনায়ন করেন। স্থানীয় ভবতোষ রঞ্জন(৩৫) মোঃ আতাহার আলী (৩২)অভিযোগ করেন,উজিরপুরের হারতা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক নিখিল হালদার (২৬) যুবলীগ কর্মী সুশিল মন্ডল,সজীব মন্ডল ,রাজু আহম্মেদ গত ২/৩ দিন ধরে সড়কের ১৫ টি মেহগনি ও রেন্ট্রি গাছ কেটে নেয়। যার আনুমানিক মূল্য আড়াই লক্ষ টাকা। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, বিষয়টি তারা পুলিশকে জানালে পুলিশ  যুবলীগ কর্মী সুশিল মন্ডল,সজীব মন্ডল ,রাজু আহম্মেদকে গ্রেফতার করে অজ্ঞাত কারনে ছেড়ে দেয়। হারতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুনীল বিশ্বাস ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি বন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে। গাছ কাটার অভিযোগ অস্বীকার করে হারতা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক নিখিল হালদারসহ যুবলীগ একাধিক কর্মী বলেন, এর সাথে তাদের কোন সম্পৃক্ততা নেই।  উজিরপুর উপজেলা বন কর্মকর্তা মোঃ সেলিম আহম্মেদকে এ প্রসংঙ্গে জিজ্ঞাসা কররে তিনি সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জড়িতদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে প্রশাসনিক ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে। উজিরপুর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আঃ মজিদ সিকদার বাচ্চুর কাছে এ প্রসংগে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দলের নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ অনৈতিক কাজ করলে তা সমর্থন যোগ্য নয়। অভিযোগ প্রমানিত হলে তাদের বিরুদ্বে দলীয় ব্যাবস্থা নেয়া হবে। গাছ কেটে নেয়ার ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে উজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুকুমার রায় বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবহিত নই।