বাদীকে হত্যার উদ্দেশ্যে বসত ঘরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ

ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বেজগাতি গ্রামে।

ওই গ্রামের প্রবাসী ইমরাত ওরফে ইমু হাওলাদারের স্ত্রী কাজলী বেগম অভিযোগ করেন, একই গ্রামের জব্বার হাওলাদারের পুত্র কবির হাওলাদার দীর্ঘদিন থেকে তাকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিলো। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গৃহবধূ কাজলী বেগমকে নানাধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় গত ২০ অক্টোবর রাতে কবির কৌশলে গৃহবধূ কাজলীর ঘরে প্রবেশ করে জোড়পূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। এসময় কাজলীর ডাকচিৎকারে বাড়ির অন্যান্য লোকজন এগিয়ে আসলে ধর্ষক কবির পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় কাজলী মামলা দায়ের করতে থানায় রওয়ানা হলে স্থানীয়রা প্রহসনমূলক সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসা করে দেয়। এ ঘটনার ৪দিন পর (২৪ অক্টোবর) রাতে লম্পট কবির পূর্ণরায় কাজলীর ঘরে প্রবেশ করে ঘুমন্ত অবস্থায় তাকে (কাজলীকে) ঝাঁপটে ধরে। এ সময় কাজলী কৌশলে দা দিয়ে লম্পট কবিরকে আঘাত করলে (কোপ দিলে) কবির দৌড়ে পালিয়ে যায়। উভয় ঘটনায় গৃহবধূ কাজলী বেগম বাদি হয়ে গত ২৬ অক্টোবর বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর আসামি কবির হাওলাদার আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। সে মামলা উত্তোলনের জন্য কাজলী বেগমকে নানাধরনের ভয়ভীতিসহ প্রাণনাশের হুকমি প্রদর্শন করে।

অভিযোগে আরো জানা গেছে, বুধবার রাতে কাজলী বেগম তার চার বছরের একমাত্র পুত্র সন্তান ইয়াসিনকে নিয়ে ঘরে ঘুমিয়ে ছিলো। হঠাৎ করে তার বসত ঘরে আগুন দেখে সে ডাকচিৎকার শুরু করে ঘরের বাহিরে আসে। এসময় কবির ও তার সহযোগীরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে। অসহায় কাজলী বেগম লম্পট কবির হাওলাদারের হাত থেকে রেহাইপেতে প্রসাশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনগুলোর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ ব্যাপারে গৌরনদী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ নুরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।