হদিস মেলেনি কলেজ তহবিলের ৩ লক্ষাধিক টাকার

দু’টি রিপোর্টে কলেজের অধ্যক্ষ কর্তৃক এ টাকা আত্মসাতের সত্যতা মিলেছে। বিষয়টি স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল ধামাচাপা দেয়ার অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

কলেজ গর্ভনিং বডির অভ্যন্তরীন অডিট কমিটির একাধিক সদস্য ও অডিট রির্পোটে জানা গেছে, কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ ফিরোজ ফোরকান আহম্মেদ অনিয়ম ও ব্যাপক দুর্নীতির মাধ্যমে কলেজ তহবিলের এ টাকা আত্মসাত করেছেন। ইতিপূর্বে অনিয়ম ও ব্যাপক দুর্নীতির মাধ্যমে কলেজের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে অধ্যক্ষ ফিরোজ ফোরকানের অপসারনের দাবিতে কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও কলেজ ভাংচুর করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। ওইসময় বিক্ষুব্ধরা অধ্যক্ষের অপসারনের দাবিতে ৩ দিনের কর্মসূচিও পালন করেন। সে সময় কলেজ গভর্নিং বডির সদস্যরা তদন্ত সাপেক্ষে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়ে বিক্ষুব্ধদের শান্ত করেন। অভিযোগের ভিত্তিত্বে কলেজ গভর্নিং বডির একসভার সিদ্ধান্তনুযায়ী ২০০৩ সালের ১ জুলাই থেকে ২০১০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত অডিটের জন্য কলেজ গভর্নিং বডির সদস্য ও মাহিলাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সরদার মোঃ ইসাহাক আলীকে আহ্বায়ক ও গভর্নিং বডির সদস্য আবু সাঈদ চোকদার, সিরাজুল ইসলাম, কলেজ শিক্ষক দিলীপ কুমার বণিক, বেল্ল­াল হোসেনকে সদস্য করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট কলেজ আভ্যন্তরীন অডিট কমিটি গঠন করা হয়। ওই অডিট কমিটি কলেজের হিসাব নিরীক্ষা করে দেড় লক্ষাধিক টাকার হদিস পায়নি। এরপূর্বে ২০০০ সাল থেকে ২০০৩ সালের শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের আরেকটি অডিটে ১ লাখ ৮১ হাজার গড়মিল পাওয়া গেছে। উভয় অডিট রিপোর্টে উল্লেখিত টাকা কলেজ তহবিলে ফেরত যোগ্য উল্লে­খ করা হয়। সর্বশেষ অডিট রিপোর্টটি সম্প্রতি কলেজ গভর্নিং বডির সভায় গভর্নিং বডির সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য এডভোকেট তালুকদার মোঃ ইউনুসের কাছে জমা দেয়া হয়েছে।

দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অস্বীকার করে মাহিলাড়া ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ ফিরোজ ফোরকান আহম্মেদ গভর্নিং বডির সভায় অডিট রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা না হওয়ার আগে কোন মন্তব্য করতে অপরাগতা প্রকাশ করেন।