ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ৫ শতাধিক শ্রমিক

পাঁচ শতাধিক শ্রমিকেরা কাজ করেও মজুরীর টাকা না পেয়ে এবার ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সরকার অতিদরিদ্রদের জন্য পুর্নরায় কর্মসংস্থান কর্মসূচী চালু করায় আগৈলঝাড়া উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ৪৮ লাখ ১৮ হাজার টাকা বরাদ্দে ৮শ’ ৩জন শ্রমিক কাজ করার সুবিধা পান। সরকারী নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি ইউনিয়নে ১জন করে সরকারী কর্মকর্তা প্রকল্প বাস্তবায়নের সার্বিক দায়িত্বে রয়েছেন। গত ১ নবেম্বর গৈলা ও রতœপুর, ২ নবেম্বর বাকাল, ৩ নবেম্বর বাগধা এবং ৬ নবেম্বর রাজিহার ইউনিয়নে এ কর্মসূচীর কাজ শুরু করা হয়। তবে ২টি ইউনিয়নে প্রকল্পের তালিকা জমা দিলেও বাকি ৩টি ইউনিয়নের দায়িত্বরত কর্মকর্তাসহ প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি এখন পর্যন্ত তা জমা দেয়নি। গত ১৫দিন পর্যন্ত ওইসব প্রকল্পের শ্রমিকেরা কাজ করলেও ব্যাংকে তাদের নিজস্ব হিসাব না খুলতে পারায় তাদের মজুরীর টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করতে পারেননি।

ইউনিয়নের তদারকি কর্মকর্তা গতকাল সোমবার পর্যন্ত রতœপুর ইউনিয়নের ১৫০ জন শ্রমিকের হাজিরা ও প্রকল্প জমা দিতে গাফিলতি করায় শ্রমিকেরা ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারেননি। এ কারনে ওইসব পরিবারের লোকজন এবারের ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ৫টি ইউনিয়নের মধ্যে গৈলা ইউনিয়ন ব্যতিরেকে অন্যসব ইউনিয়নগুলোর অধিকাংশ শ্রমিকেরা এখনো ব্যাংক হিসাব খুলতে পারেননি।
এ ব্যাপারে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শচীন্দ্র নাথ বৈদ্য জানান, তদারকি কর্মকর্তারা হাজিরা ও প্রকল্প জমা দিতে বিলম্ব করায় মোট শ্রমিকের অর্ধেক অংশই ঈদের আগে টাকা তুলতে পারবেন না। রতœপুর ইউনিয়নের তদারকি কর্মকর্তা পরিবর্তন হওয়ায় প্রকল্প তালিকা ও হাজিরা জমা না দেয়ায় সেখানকার শ্রমিকেরা ব্যাংক হিসেব খুলতে পারেননি। তাই তারা ঈদের আগে টাকা তুলতে পারবেন না বলেও তিনি উল্লেখ করেন।