ফিরে দেখা ২১ – বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রচারে

সরজমিনে গিয়ে জানা গেছে, সম্প্রতি উপজেলার উত্তর শিহিপাশা গ্রামে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীরের নামে তার ছোটভাই সান্টু সরদার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি স্থাপন করেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য এ্যাড. তালুকদার মো. ইউনুস গত ১৫ নভেম্বর ওই বিদ্যালয়টির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের সময় বিদ্যালয়ের দৈন্যদশা দেখে এমপি তাৎক্ষণিকভাবে ওই স্কুলের উন্নয়নমূলক কাজের জন্য ৫ মে.টন টিআর বরাদ্দ দেন। সরকারী বরাদ্দ প্রাপ্তির তিনমাস পর ওই স্কুলে প্রথমবারের মত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন উপলক্ষে স্থানীয় রুবেল, কাওসার, সুমন, রিয়াজ, মুরাদসহ ১৫-২০জন যুবক অস্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ওই অনুষ্ঠানে একুশের রাতে জাতিরজনক শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ সম্প্রচার হওয়া অবস্থায় স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সান্টু বাঁধা দিয়ে ভাষণের ক্যাসেট ছিনিয়ে নেয়।

পরবর্তীতে তার চাচাত ভাই কাওছার পুনরায় ভাষণ বাজাতে চাইলে প্রতিষ্ঠাতা সান্টু তাকে বলেন, ‘তোর মাকে নিয়ে তুই কাঁথার নিচে বসে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শোন মাইক ভাড়া আমি দেব। এখানে কোন ভাষণ বাজানো যাবেনা’। এনিয়ে রোববার বিকেলে স্থানীয় আলতাফ হোসেন সান্টুর কাছে ভাষণ বন্ধ করা সম্পর্কে জানতে চাইলে সান্টু সদম্ভে ভাষণ বন্ধ করার কথা স্বীকার করেন। ঘটনায় ওই এলাকার আওয়ামীলীগ সমর্থিত নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের মাঝে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জসীম সরদার ঘটনাটি অবহিত হয়েছেন বলে জানান। এব্যাপারে সান্টু সরদার সাংবাদিকদের জানান, তিনি নিজে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন অগ্রসৈনিক। চাচাত ভাইদের সাথে তার কোন বিরোধ নেই বলে দাবি করে তিনি বলেন প্রতিপক্ষরা তার বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে।