কাশিমবাজার কুঠি জয় ও পানিপথের দ্ধিতীয় যুদ্ধ – ওয়াচডগ

বুদ্ধিজীবীদের বিরাট অংশ বিশাল অন্যায়ের বিরুদ্ধে মহা বিশাল বিজয় হিসাবে আখ্যায়িত করে তৃপ্তির ঢেকুর তুলছেন। নব্য নবুয়ত পাওয়া কতিপয় আওয়ামী নেতা মইনুল হোসেন রোডের ঐ বাড়িকে কাশিমবাজার কুঠি আখ্যায়িত করতেও দ্বিধা করছেন না। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে আমাদের প্রিয় জন্মভূমি ’৭১ এর পর নতুন করে আবার স্বাধীনতা পেল। দেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতা যুদ্ধের স্ট্রাটেজিক স্থাপনা কাশিমবাজার কুঠির বীরত্বপূর্ণ বিজয়ের একদিন পর বিজেতা খালেদা জিয়ার বেডরুমে পর্নোগ্রাফি ও রেফ্রিজারেটরে হুইস্কির বোতল প্রদর্শনীর মাধ্যমে আমাদের বীর সেনাবাহিনী কি ম্যাসেজ প্রসব করতে চাচ্ছে এখন পর্যন্ত তা পরিষ্কার হয়নি। তবে শয়নকক্ষে পর্নোগ্রাফি আবিষ্কার কেন জানি মার্কিন প্রেসিডেন্ট বুশের ইরাক আক্রমণ এবং দেশটায় ’ওয়েপন অব মাস ডেস্ট্রাকশন’ আবিষ্কারের কথা মনে করিয়ে দেয়। এ প্রসংগে একটা কথা না বললেই নয়, সেনানিবাসের অভ্যন্তরে কাসিম বাজার কুঠির অস্তিত্বের কথা ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ যদি আগ হতেই জেনে থাকে তা হলে প্রশ্ন উঠবে, স্বাধীনতার সোল এজেন্ট দলটি কেন ষড়যন্ত্রকারীদের পাশে নিয়ে পার্লামেন্টে বসেছিল। সে যাই হোক, এ সমস্যার বোধহয় স্থায়ী সমাধান হতে যাচ্ছে। কুঠি পতনের তালিকা দীর্ঘায়িত হতে যাচ্ছে খুব শীঘ্র। এ তালিকার শীর্ষে আছে বাংলাদেশের ’মহান’ পার্লামেন্টকুঠি। সর্বশেষ খবরে প্রকাশ ঈদের পর আমাদের পার্লামেন্ট রাজাকার এবং কুঠি ষড়যন্ত্রকারী মুক্ত হতে যাচ্ছে। ওরা একযোগে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সদ্য সমাপ্ত স্বাধীনতা যুদ্ধের পরাজিত পক্ষ ঈদের পর কি কর্মসূচী হাতে নিচ্ছে তার একটা সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ না করলে দেশের সাথে বেঈমানী করা হবে নিশ্চয়ঃ

– পার্লামেন্ট হতে একযোগে পদত্যাগ
– সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার আন্দোলন
– সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার হরতাল
– এবং অপ্রকাশিত আরও অনেক এজেন্ডা
– সর্বমোট ৫ দফা

হোক তা কুঠি হারানোর দুঃখ অথবা যুদ্ধ পরাজয়ের ক্রোধ, ঘষেটি বেগমদের একজন রাখ ঢাক না করে সরাসরি বলে দিয়েছে, সামনের নির্বাচনে জয়লাভ করলে বাংলার শেষ স্বাধীন নওয়াবান বেগম হাসিনা ওয়াজেদকে সুধাসদন হতে উচ্ছেদ করা হবে, এবং ৩২ নম্বরের যাদুঘর ভেংগে তাতে বাস্তবায়ন করা হবে আবাসন প্রকল্প। পাঠক, আপনারা কি বিশ্বাস করেন প্রতিশোধ নিতে একটা দল এতটা নীচে নামতে যাবে? যারা তা বিশ্বাস করেন না তাদের বোধহয় বাংলাদেশকে নতুন করে আবিষ্কার করতে হবে। দৈব কিছু না ঘটলে বিএনপি অবশ্যই তা করতে যাবে এবং পাশাপাশি দেশের মাটি হতে শেখ পরিবারের নাম এবং নিশানা যুগপৎ মুছে দেওয়ার উদ্যোগ নেবে। যারা আওয়ামী প্রেমে টইটম্বুর তারা বলবেন দেশের একজন মুক্তিযোদ্ধা বেচে থাকতে ক্লাইভ জ্ঞাতিগুষ্টিদের এ স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবেনা। শুনতে ভাল লাগে এবং তাতে গর্বে বুক ফুলে উঠে। সন্দেহ নেই অনেক নব্য এবং পুরানো যোদ্ধা মাঠে নামবে এবং অবতীর্ণ হবে ক্ষমতা দখলের পানিপথের যুদ্ধে। হিসাব কষলে আওয়ামীদের এ যুদ্ধ হবে পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধ। ঐ যুদ্ধে কে হারবে আর কে জিতবে সময়ই তা প্রমান করবে। কিন্তু যুদ্ধের স্থায়ী পরাজিত পক্ষ দেশের সাধারণ জনগণ যে আবারও একটা ম্যারাথন হরতাল এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রমের গ্যাঁড়াকলে পরতে যাচ্ছে তাতে কোন সন্দেহ নেই।

দেশবাসী, প্রস্তুতি শুরু করে দিন। খুব শীঘ্র ফিরে আসছে ২০০৫-২০০৬ সাল। আমরা যারা নিধিরাম সর্দার মার্কা প্রবাসি তারা বলব, আহলান ওয়া সাহলান, অথবা Welcome Back!!!