মিথ্যে অপহরন মামলায় ৪১ দিন ধরে কারাভোগ করছেন গৌরনদীর সেন্টু

এ ঘটনায় যুবতীর পিতা আব্দুল আজিজ বাদি হয়ে একটি অপহরন মামলা দায়ের করেন। সাজানো ওই মামলায় গত ৪১দিন ধরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কারাভোগ করছেন আবুলের বোনজামাতা বরিশালের গৌরনদী উপজেলার কাসেমাবাদ গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মদ বেপারী পুত্র ও ঢাকার পীরেরবাগ এলাকার রেন্ট-এ কার চালক মোঃ সেন্টু বেপারী (৩০)। এদিকে পুত্রের গ্রেফতারের সংবাদ পেয়ে ষ্টক করে মারা গেছেন তার মা রওশন আরা বেগম (৭৫)। সংসারের একমাত্র উপার্যনক্ষম সেন্টু বেপারী দীর্ঘদিন কারাগারে থাকায় তার ৪ সদস্যর অসহায় পরিবারটি এখন মানবেতর জীবন যাপন করছেন। মিথ্যে মামলা থেকে রেহাই পেতে অসহায় পরিবারটি প্রসাশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। 

গতকাল শনিবার দুপুরে গৌরনদী প্রেসক্লাবে সেন্টু মিয়ার স্ত্রী রুনু বেগম উপস্থিত হয়ে জানান, তার ভাই (সেন্টুর শ্যালক) উপজেলার আশোকাঠী গ্রামের মৃত রহিম ফকিরের পুত্র আবুল হোসেন (২৬) প্রেমের সম্পর্কে গত ২৫ সেপ্টেম্বর সাভার থানার দক্ষিণশ্যামপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের কন্যা নাজু আক্তারকে (১৯) নিয়ে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায়। গত ২৮ সেপ্টেম্বর তারা রেজিষ্ট্রি কাবিননামা মুলে স্বেচ্ছায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। এ ঘটনায় নাজুর পিতা আব্দুল আজিজ বাদি হয়ে গত ১ অক্টোবর সাভার মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ছয়জনকে আসামি করে একটি অপহরন মামলা দায়ের করেন। কৌশলে গত ৪ অক্টোবর সাভার মডেল থানা পুলিশ রেন্ট-এ কার চালক সেন্টু মিয়াকে গ্রেফতার করেন। সেই থেকে অদ্যবর্ধি তিনি (সেন্টু) ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে কারাভোগ করছেন। এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন আব্দুল আজিজের কন্যা নাজু বেগম। নাজু বেগম বলেন, আমাকে অপহরন করা হয়নি। প্রেমের সম্পর্কে আমি স্বেচ্ছায় পিত্রালয় ছেড়ে এসেছি। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আমি আমার বাবাকে বিস্তারিত জানানো সত্বেও তিনি আমাদের বিয়ে মেনে নিতে না পেরে মিথ্যে মামলা দায়ের করেছেন।