কালকিনির শতাধিক স্থানে জুয়ার আসর!

সে অধিকার ভোগ করে প্রকাশ্যে বসছে জুয়ার আসর। স্থায়ীভাবে ১০থেকে ১৫টি জুয়ার আশর সারা বৎসরব্যাপী চলতে থাকা সত্বেও ঈদের দিন থেকেই শুরু হয়ে যায় অর্ধ শতাধিক স্থানে জুয়া খেলা। ঈদের আনন্দ, উৎসব ও ত্যাগের মহিমার জন্য হলেও এক শ্রেণীর মানুষের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগীতায় মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার পৌর এলাকাসহ ১৪টি ইউনিয়নের এলাকাগুলোতে জুয়ার এমন চিত্র দেখা যাচ্ছে। এবারের ঈদুল আযহ্া উপলক্ষে গঠিত জুয়ার আসরগুলো এখনো সরগরম নেশাখোর জুয়াখোর, স্কুল-কলেজের শিক্ষাথী, বেকার যুবক ও দুরদুরান্ত থেকে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে বাড়িতে আসা লোকজনের উপস্থিতিতে। ঈদের আনন্দ উপভোগ থেকে বঞ্চিত এসব পদভ্রষ্ট মানুষের হীন কাজকে (জুয়া খেলা) পুঁজি করে পুলিশ চাঁদা আদায় করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক জুয়ারীরা জানান, তিন শ্রেণীর মানুষের সমন্বয়ে জুয়ার আসর গঠিত হয়। কিছু আছে পেশাদার জুয়াখোর বা সরাসরি জুয়া খেলার সাথে প্রত্যক্ষভাবে সম্পৃক্ত, অর্থ সরবরাহদাতা বা কয়েক ব্যক্তি আছে যারা জুয়ারীদের কাছে কয়েকগুণ বেশীতে টাকা ধার দিয়ে থাকে এবং আরেক শ্রেণীর লোক যারা জুয়ার আসরের সার্বিক নিরাপত্তা ও পুলিশের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে থাকে। উপজেলার পৌর এলাকা, কয়ারিয়া, সিডিখাঁন, এনায়েতনগর ও ডাসার ইউনিয়নের গ্রামগুলোতে সবচেয়ে বেশী জুয়ার আসর বসেছে। জুয়ার আশরের কারনে মানুষের নৈতিক অবক্ষয় ও সামাজিক অপরাধমূলক কর্মকান্ড বৃদ্ধি পাচ্ছে।
যোগাযোগ করা হলে থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঈদ উপলক্ষে জুয়ার আসর বসা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। কোথায় বসেছে তা না জানার কারনে ব্যবস্থা নিতে পারছি না।  এলাকাবাসীকে আমি অনুরোধ করছি আপনারা আমাকে জুয়ার আসর সম্পর্কে জানান। আমি মনেপ্রাণে চাই এ উপজেলায় একটিও জুয়ার আসর না থাকুক’।