শ্যালককে হাত-পা বেঁধে নদীতে ফেলে দিয়েছে মাদকাসক্ত দুলাভাই

এ ঘটনায় পুলিশ নেশাখোর দুলাভাইকে গ্রেপ্তার করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার গভীর রাতে বরিশাল নগরীর পলাশপুর বস্তিতে। নদীতে ফেলে দেয়া শ্যালকের এখনো কোন সন্ধ্যান মেলেনি। 

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, পলাশপুর বস্তির রজনীগন্ধা গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দা রিকসা চালক মনু মিয়ার কন্যা রিজিয়া বেগমের সাথে পাঁচ বছর পূর্বে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার বামনীরচর গ্রামের মোঃ সোহেল আহম্মেদের (৩৫) সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তারা (দম্পতি) ঢাকায় বসবাস করেন। এরইমধ্যে তাদের ঘরে একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তান জন্মগ্রহন করে। সম্প্রতি সোহেল মাদকাসক্ত হওয়ায় রিজিয়া ঈদের পূর্বে পিত্রালয়ে চলে আসে। সোমবার বিকেলে মাদকাসক্ত সোহেল তার শশুর বাড়িতে এসে কন্যাকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টাকালে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বাকবিতন্ডা বাঁধে। একপর্যায়ে সোহেল তার স্ত্রী রিজিয়া ও শ্যালক চাঁন মিয়াকে মারধর করে। ওইদিন রাত সাড়ে এগারোটার দিকে কৌশলে ছোট শ্যালক মাইনুলকে (৮) নিয়ে হাত-পা বেঁধে কীর্তনখোলা নদীতে ফেলে দেয়। এসময় স্থানীয়রা মাদকাসক্ত সোহেলকে আটক করে গণধোলাই দয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। এ ঘটনায় মাইনুলের পিতা মনু মিয়া বাদি হয়ে কাউনিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন।