সিবিএ নেতাকে গ্রেপ্তারের পর ছেড়ে দিয়েছে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ

কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ। তার নাম- খালেক মৃর্ধা (৫২)। নগরীর বান্দ রোড এলাকার মৃত ছোমেদ মৃর্ধার ছেলে সে। খালেক মৃধা পানি উন্নয়ন বোর্ড শ্রমিক কর্মচারী লীগের (বি-১৮৮৭) কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও বরিশাল শাখার সভাপতি। বুধবার দিবাগত রাত ২টায় তাকে গ্রেপ্তার করে কোতয়ালী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাহ সাবখান। তার বিরুদ্ধে একটি মারধর, ছিনতাই এবং চাঁদা দাবির অভিযোগে আদালতে করা মামলার গ্রেপ্তারী পরোয়ানা রয়েছে। যার নং- সিআর ১০৯০/১০। নির্ভরযোগ্য সুত্র জানায়, রাত ২টায় উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাহ সাবখান’র নেতৃত্বে একটি দল তার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে।


সকালে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। কোতয়ালী মডেল থানার  হাজত রেজিষ্টারে গ্রেপ্তারকৃত আসামী হিসেবে খালেক মৃর্ধা’র নাম তালিকাভুক্ত করা হয়। তাকে ছেড়ে দেয়ায় নামের উপর খাম দিয়ে সাদা কাগজ সেটে দেয়া হয়েছে। যা হাজত রেজিষ্টারের ২৪ নভেম্বরের গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের নামের তালিকা লেখা পৃষ্ঠায় ৮ নং আসামী হিসেবে খালেক মৃর্ধা’র নাম রয়েছে। নামের উপর সাদা কাগজ সেটে দেয়ায় যা স্পষ্ট ভাবে তাকে গ্রেপ্তার করা কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাহ সাবখান’র নাম এবং তার ওয়ারেন্টভুক্ত মামলার নং – সিআর ১০৯০/১০ লেখা রয়েছে। উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাহ সাবখান’র সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে সিবিএ নেতা খালেক মৃর্ধা বলেন, পুলিশ তাকে কথা আছে বলে থানায় নিয়ে আসে। সকালে আবার চলে যেতে বলেছে। কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, তিনি একজন আওয়ামী লীগ নেতা। হরতালে কারা পিকেটিং করে জানার জন্য নিয়ে আসা হয়েছে। হাজত রেজিষ্টার খাতায় নাম তালিকাভুক্ত করা বিষয় সম্পর্কে ওসি বলেন, তার বিরুদ্ধে থানায় কোন গ্রেপ্তারী পরোয়ানা নেই। বুধবার মুখ্য হাকিম আদালতে আতিকুর রহমান নামে এক ব্যক্তি মারধর, ছিনতাই এবং চাঁদা দাবির অভিযোগে সিবিএ নেতা খালেক মৃধাসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। মুখ্য হাকিম আলতাফ হোসাইন অভিযোগ আমলে নিয়ে খালেক মৃধা বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা এবং অন্য বিবাদীদের সমন জারির নির্দেশ দেন। নথী সুত্রে জানা গেছে, গত ২৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে অক্সফোর্ড মিশন রোডের বাসিন্দা বাদী আতিকুর রহমানের কাছ থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা ধার নেয় খালেক মৃর্ধা। নির্ধারিত সময় পার হওয়ার পর টাকা ফেরৎ না দিয়ে টালবাহানা শুরু করে। এক পর্যায়ে গত ২৩ নভেম্বর বাদী আতিকুরকে ওয়াপদা কলোনীর ইউনিয়ন অফিসে নিয়ে আটক করে। পরে তাকে মারধর, ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি এবং তার কাছ থেকে নগদ টাকা, মোবাইল, স্বর্নের আংটি ছিনিয়ে নেয়।