আগৈলঝাড়ায় পল্লীবিদ্যুৎ মিটার ভাড়ার নামে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা

অতিরিক্ত আদায় করে নিচ্ছে বরিশাল পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২। এনিয়ে পল্লীবিদ্যুতের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযোগ উঠেছে। ফলে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দেয়। জানাগেছে, পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২ আগৈলঝাড়া জোনাল অফিসের আওতায় ১৫ হাজার ৩শ’ ৬৫ জন গ্রাহক রয়েছে।  গ্রাহকদের মিটার স্থাপনের পর থেকে প্রতি মাসে মোট বিলের সাথে অতিরিক্ত ১০ টাকা করে পল্লীবিদ্যুৎ আদায় করে নিচ্ছে। এতে বিদ্যুৎ গ্রাহকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। বিগত জোটসরকারের সময় পল্লীবিদ্যুতের মিটার ভাড়া ১০ টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাট উপজেলায় গ্রাহকরা আন্দোলন করায় প্রাণহানিসহ বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। সেকারণে বিগত তত্বাবধায়ক সরকারের সময় ৬-৭ মাস পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির মিটার ভাড়া আদায় বন্ধ রাখার পরে ২০০৮ সালে জুলাই মাস থেকে মিটার ভাড়া বাবদ ১০ টাকা করে আদায় করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এর ধারাবাহিকতায় ১০ টাকা করে মিটার ভাড়া বাবদ অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে।

এব্যাপারে আগৈলঝাড়া নাম প্রকাশ না করার শর্তে পল্লীবিদ্যুতের গ্রাহকরা অভিযোগে জানান, পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি প্রতারণা করে আমাদের মিটার ভাড়ার নামে প্রতিমাসে ১০ টাকা করে নিচ্ছে। তাছাড়া তাদের আমরা সার্ভিস চার্জ ৫ টাকা, চাহিদা চার্জ ১০ টাকাসহ বিভিন্ন খাতে গত ১০ বছর যাবৎ মিটার ভাড়া বাবদ ১ হাজার ২ শ’ টাকা, সার্ভিস চার্জ ৬ শ’ টাকা, চাহিদা চার্জ বাবদ ১ হাজার ২ শ’ টাকাসহ মোট গড়ে ৩ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। তারপরেও প্রাকৃতিকভাবে ক্ষয়ক্ষতি হলেও গ্রাহককে মিটার ও সংযোগের জন্য জরিমানাসহ নতুন মিটারের টাকা দিয়েও ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। এই মিটার ভাড়ার যেন কোন নির্দিষ্ট মেয়াদ নেই! মিটার স্থাপনের পর থেকে আজীবন ১০ টাকা হিসেবে ভাড়া বাবদ আদায় করে বিরাট অংকের ক্ষতি করছে গ্রাহকদের। এব্যাপারে আগৈলঝাড়া জোনাল অফিসের ডিজিএম রঙ্গলাল কর্মকার জানান, মিটার ভাড়া বাবদ ১০ টাকা আদায় করা হলেও এটাকা দিয়ে গ্রাহকদের মিটারের কোন ক্ষতি হলে তা পুনঃস্থাপন করা হয়। যতদিন পর্যন্ত মিটার সচল থাকবে ততদিন ওই গ্রাহকের মিটারের ক্ষয়ক্ষতি পূরণ করা হবে।