আগৈলঝাড়ার চলতি ইরি-বোরো মৌসুমের চাষাবাদ শুরু

কাজ শুরু করেছে। সংকট আর দুস্প্রাপ্যতার জন্য কৃষকরা চলতি মৌসুম নিয়ে উদ্বিগ্ন। উপজেলা কৃষি অফিস  সূত্র মতে, চলতি বোরো মৌসুমে আগৈলঝাড়া উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ৭শ৫০টি ইরি ব্লকের আওতায় ৯হাজার ৮শত ৬০ হেক্টর জমি চাষের লক্ষমাত্রায় নেয়া হয়েছে।  প্রতি হেক্টরে উৎপাদনের লক্ষমাত্র ধরা হয়েছে প্রায় ৩শ ৭২ মে.টন চাল। প্রতি হেক্টরে ২৫ কেজি বীজ হিসেবে ৯হাজার ৮শত ৬০ হেক্টর জমি চাষের জন্য বীজের টার্গেট ২লাখ  ৪৬ হাজার ৫শ কেজি। মৌসুমে সারের চাহিদা রয়েছে ৩হাজার ৭শ ২৩ মে.টন। তবে চাহিদাকৃত বীজের অর্ধেকেরও বেশি অংশ কৃষকরা নিজস্ব উৎপাদিত বীজ ব্যবহার করে। চাহিদার মধ্যে ৮০ মে.টন বীজ বিএডিসি কর্তৃক সরবরাহর কথা থাকলেও  ইতোমধ্যেই ৮৫ মে.টন বীজ সরবরাহ করেছে বিএডিসি। এর পরেও বীজের কৃত্তিম সংকটের জন্য ডিলারদের দায়ী করেছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রমেন্দ্র নাথ বাড়ৈ। উপজেলার রাজিহার, বাশাইল, বাটরা, বাহাদুরপুর গ্রামে বিএডিসির কোন বীজ পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতি ১০ কেজির বীজের বিএডিসির প্যাকেট ৩৩০ টাকায় বিক্রির কথা থাকলেও কোথাও কোথাও ৯শ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত বীজ বিক্রির খবর পাওয়া গেছে।

এছাড়াও বিভিন্ন কোম্পানীর বীজও বাজার থেকে উধাও হয়েগেছে। ডিলাররা অধিক মুনাফার আশায় কৃত্তিম সংকট তৈরী করছেবলে  অভিযোগ রয়েছে। চলতি মৌসুমে সারের চাহিদা রয়েছে ইউরিয়া ২হাজার ২শ ৬৫ মে.টন, টিএসপি ৬শ ৪৫ মে.টন, এমওপি ৫শ ৪০ মে.টন ও ডিএপি ২শ ৭৩ মে.টন। চাহিদাকৃত সারের কিছু অংশ বরাদ্দ ইতোমধ্যেই পাওয়া গেছে বলে কৃষি অফিস জানায়। এদিকে শুস্কমৌসুমে শুরুতেই প্রতিবারের মত এবারও সেচ সংকটএর চরম আশংকা করা হচ্ছে। খাল গুলো পুনঃখনন না করায় কৃষকরা সময়মত সেচ দিতে না পারায় চাষাবাদ ও উৎপাদন ব্যহত হয়। অধিকাংশ খালেই সেচের জন্য পর্যাপ্ত পানি থাকে না। ফলে প্রকৃতির উপর নির্ভর হয়ে পরতে হয় চাষীদের। মৌসুমের সময় সরকার চাষীদের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের আস্বাস দিলেও মৌসুম শেষে তা আর বাস্তবায়ন হয় না। ফলে চাষীদের সমস্যাগুলো একই আবর্তে আবর্তিত হচ্ছে।