আগৈলঝাড়ায় ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা দায়ের ॥ ৩ জন গ্রেফতার

পাল্টা হামলায় উভয়গ্রুপের কমপক্ষে ২০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। গুরুতর আহতদের বরিশালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার সকালে থানায় মামলা দায়ের করা হলে পুলিশ ওইদিন দুপুরে ৩ ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে।

সূত্রমতে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন থেকে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শোয়েব ইমতিয়াজ লিমন ও যুগ্ন সম্পাদক শহিদ পাইকের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিলো। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে লিমন গ্র“পের সমর্থক শাহাজাদা হোসেনকে উপজেলার ডাকবাংলো সম্মুখে বসে মারধর করে শহিদ পাইকের ক্যাডার আবু বক্কর ও মনির হোসেন। এ ঘটনার জের ধরে ওইদিন সন্ধ্যা সাতটার দিকে উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্মসম্পাদক শহিদ পাইকের ওপর হামলা চালায় লিমন গ্রুপের নেতা-কর্মীরা। ওইদিন রাত সাড়ে আটটার দিকে শহিদের সমর্থকরা লিটন গ্রুপের ওপর পাল্টা হামলা চালায়। হামলা ও পাল্টা হামলায় উভয় গ্রুপের শহিদ পাইক, জাকির পাইক, মনির হোসেন, আবুবক্কর, রুহুল আমিন, মামুন মোল্লা, বিপুল দাস, যুবলীগ নেতা জাকির তালুকদার, সাইদুল সরদার, লিমন গ্রুপের শাহজাদা, আরিফ হোসেন, টিটু, হরষিত, রাকিব, কায়েশ, রাব্বি, মামুন, এনামুল হক, পলাশ গাজীসহ কমপক্ষে ২০ জন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী আহত হয়। গুরুতর আহত শহীদ পাইককে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ও অন্যান্যদের আগৈলঝাড়া ও গৌরনদী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার সকালে ছাত্রলীগ নেতা শহিদ পাইকের পিতা মকবুল হোসেন পাইক বাদি হয়ে আগৈলঝাড়া থানায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ১০/১২জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন (যার নং-০৫)। পুলিশ ওইদিন দুপুর বারোটার দিকে গৈলা বাজারে অভিযান চালিয়ে ছাত্রলীগ নেতা টিটু তালুকদার, কমল দাস ও দেবা চৌধুরীকে গ্রেফতার করে।