আগৈলঝাড়ার শুটকি পল্লীতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন জেলেরা

আগৈলঝাড়া উপজেলার মৎস্য অঞ্চল হিসেবে পয়সারহাট পরিচিত। পয়সারহাট- ত্রিমুখি নদীর উপকূলে ৫ শতাধিক পরিবার নিয়ে বিভিন্ন স্থানে গড়ে ওঠেছে পয়সারহাট, রাজাপুর, ত্রিমুখী শুটকি পল্লী। এ অঞ্চলের সু-স্বাদু মিঠা পানির নানা প্রজাতির মাছ সারা দেশে সরবারাহ করা হয়। মাছ ধরার পেশার সাথে জড়িত দরিদ্র পরিবার গুলো অধিক লাভের আশায় মাছ শুটকির কাজ পেশা হিসেবে বেছে নেয়। প্রায় ১০ বছর পূর্বে থেকে বানিজ্যিক ভাবে গড়ে ওঠে পয়সারহাট-রাজাপুর-ত্রিমূখী-রাজিহার সহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে শুটকি পল্লী। শুটকি তৈরীতে বিভিন্ন প্রকার মাছের মধ্যে পুঁঠি, শৈল, টেংরা, খলশা, পাবদা, কৈ,শিং, মাগুর, মেনি, ফলি উল্লেখযোগ্য। ব্যবসায়ী সোবহান মিয়া, দীলিপ অধিকারী, জয়নাল চৌকিদার, অবনী, মঙ্গল মেম্বর, বেদানন্দ বলেন, বিগত দিনে জমজমাট শুটকি ব্যবসায় এখন দূর্দিন চলছে। গত বছর ১মন শুটকি পুঁটি মাছ ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা বিক্রি করেছে। এবছর সেই শুটকি ৪ থেকে ৫ হাজার টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে।

অথচ কাঁচা মাছ তাদের পূর্বের চেয়ে কয়েকগুন বেশী দামে কিনতে হচ্ছে। বাজার থেকে ১মন কাচামাছ ক্রয় করে শুকালে ১২-১৩কেজি শুটকি মাছ পাওয়া যায়। ওই পল্লীর মাছ কাটার কাজে নিয়োজিত রাজাপুর গ্রামের মহারানী, আয়না বেগম, শোভা রানী জানান, বছরে ৬মাস মাছ কাটার সাথে নিয়োজিত থাকলেও বাকি ছয়মাস অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাতে হয়।  তারা আরো জানান, ছেলে-মেয়েরা স্কুলে লেখাপড়া করে। মাছ কেটে যা আয় করি তা দিয়ে বহুকষ্ঠে জীবন যাপন করছি। তারা আরো বলেন, বর্তমানে শুকনা মৌসুমে বিলে মাছ কম থাকায় তাদের দুঃখ দুর্দশা আরো বেড়েছে। শুকটি পল্লীর ব্যবসায়ী পয়সারহাটের সোবহান মিয়া জানান, বারবার মৎস্য অফিসে গিয়েও সরকারী কোন সাহায্য সহযোগীতা পাইনি। শুটকি পল্লীর সাথে জড়িত মৎস্য জীবিরা সাহায্যর পরিবর্তে সহজ শর্তে ঋণ আশাকরছে সরকারের কাছে।