সিঙ্গেল সিটে ২য় বর্ষের ছাত্র থাকতে পারবে না!

বেশি বাড়াবাড়ি করলে তাদের হল থেকে বের করে দেয়া হবে। সিঙ্গেল সিট দ্বৈত করার প্রতিবাদ করলে সরকারি ব্রজমোহন কলেজের মহাত্মা অশ্বিনী কুমার হলের সহকারী হল সুপার মোহাম্মদ আবদুল বাতেন চৌধুরী ছাত্রদের এভাবে হুমকি দিয়েছেন বলে হলের ছাত্রদের অভিযোগ। প্রতিবাদকারী এক শিক্ষার্থী তার নাম ও রুম নম্বর পত্রিকায় প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়েছে। কেননা রুম নম্বরগুও নাম পত্রিকায় প্রকাশিত হলে হল সুপার তাদের সিট বাতিল করবে। এছাড়া এ ঘটনা প্রকাশ পেলে ছাত্রনেতারাও মারধর করবে।

ছাত্রাবাস সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ১শ’ সিটের বিপরীতে দ্বৈত একক মিলিয়ে ১৫২ জন শিক্ষার্থীকে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। নতুন বরাদ্দে সাবেক হল সুপার মোঃ হেমায়েত উদ্দিনের দেয়া ৫০ শিক্ষার্থীর নাম নেই। এ কারনে হতাশায় ভুগছে ঐ ছাত্ররা। অপর এক সূত্র জানায়, ছাত্রনেতাদের তালিকায় নাম না থাকায় তাদের নাম বাদ পড়েছে। এদিকে ১৫২ শিক্ষার্থীকে সিট বরাদ্দ দেয়া হলেও ছাত্র নেতাদের সুপারিশ রয়েছে ১৬৪টি। এছাড়া হল সুপার সচীন কুমার রায় ২য় বর্ষের পুরাতন শিক্ষার্থীদের সিট দ্বৈত করেছেন। অথচ নেতাদের সুপারিশে হলের ৩১৮, ৩২৫, ৩২৭, ১২৫, ১০৮ নম্বর কক্ষে ১ম বর্ষের ছাত্রদের সিঙ্গেল সিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এদিকে হলে শিক্ষার্থীদের জায়গা না হলেও ২১৯ নম্বর কক্ষে ৭টি, ২২০ নম্বর কক্ষে ২টি, ২২৭ নম্বর কক্ষে ২টি সিট এক বছর ধরে কাউকে বরাদ্দ দেয়া হয়নি। ঐসব কক্ষে ছাত্র নেতাদের সহযোগিতায় বহিরাগতরা অবস্থান করে বলে ছাত্রদের অভিযোগ। এ ব্যাপারে বর্তমান হল সুপার জানিয়েছেন ঐসব শূণ্য সিটে প্রকৃত ছাত্রদের বরাদ্দ দেয়া হবে। এছাড়া হল সুপার সচীন কুমার রায় সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে সিট বরাদ্দে বৈষম্য হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি দুই একটি হতে পারে বলে জানান। তিনি সহকারী হল সুপারের কথা প্রসঙ্গে বলেন, এ ধরনের কথা তিনি বলেছেন বলে জানা নাই। এ ব্যাপারে কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক মঈন তুষার বলেন, ১ম ও ২য় বর্ষের ছাত্রদের দ্বৈত রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে যেসব রুমে এক বছর পর্যন্ত সিট বরাদ্দ দেয়া হয়নি সেগুলোই বরাদ্দ দেয়া হবে।

ছাত্রলীগ নেতা রফিক সেরনিয়াবাদ বলেছেন হলে আসন কম থাকায় ১ম ও ২য় বর্ষের ছাত্রদের দ্বৈত রাখার জন্য শিক্ষকদের অনুরোধ করা হয়েছে।