মায়ের দায়ের করা মামলায় শিশু নাঈম কাঠগড়ায়

আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে সেইভ হোমে পাঠিয়েছে।

গতকাল সোমবার বরিশালের জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ঐ শিশুটিকে হাজির করে গৌরনদী থানা পুলিশ। এরপর আদালতের বিচারক মোঃ আবুল বাশার মিঞা শিশুটিকে টঙ্গীর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে প্রেরণ করার নির্দেশ দেন। আপাতত তাকে সেইভ হোমে রাখা হয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, গৌরনদীর কমলাপুর এলাকার মোঃ বাবুল বেপারী ৪ বছর ধরে মালয়েশিয়াতে কর্মরত আছে। তার স্ত্রী নাজমা বেগম ২ ছেলে ও ১ মেয়েকে নিয়ে গ্রামের বাড়ীতে বসবাস করছে। ৩ ভাই-বোনের মধ্যে ১৩ বছরের নাঈম মেঝ। নাঈমকে শিক্ষার জন্য তার মা নাজমা বেগম একাধিকবার স্কুল ও মাদ্রাসায় ভর্তি করলেও নাঈম স্কুলে না গিয়ে এলাকার বখাটে ছেলেদের সাথে আড্ডা মারত। এক পর্যায়ে নাঈম এলাকার লোকজনের মালামাল চুরি করা শুরু করে। গত ১১ নভেম্বর দুপুরে মা নাজমা বেগম রান্না করার সময় তার কাছে গিয়ে নাঈম টাকা চায়। টাকা দিতে অস্বীকার করলে রান্না ঘরে থাকা জ্বালানী কাঠ দিয়ে নাইম তার মাকে আঘাত করে। মা নাজমা বেগমের ডাক চিৎকারে পার্শ্ববর্তী লোকজন ছুটে আসরে নাঈম রান্না ঘর থেকে বেরিয়ে আসে। এ সময় নাঈম ঘরে প্রবেশ করে আলমারিতে থাকা ২ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এই অভিযোগ করে গত ২২ নভেম্বর মা নাজমা বেগম বাদী হয়ে ছেলে নাঈমের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিচারক মামলাটি গৌরনদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এজাহার হিসাবে গ্রহণ করে আদালতে পুলিশ প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। ঐ নির্দেশের প্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার গৌরনদী থানার এসআই মোঃ আবুল হোসেন পুলিশ প্রতিবেদনসহ আসামী নাঈমকে আদালতে সোপর্দ করেন। আদালতের বিচারক শিশু নাঈমকে সেইভ হোমে প্রেরন করেন।