পৌরসভায় মেয়র ও কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন দলের অর্ধশতাধিক প্রার্থী সম্ভাব্য প্রার্থীরা এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন। আ’লীগ বিএনপির প্রার্থী নির্ধারন নিয়ে চলছে জটিলতা ।
জানা গেছে, ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বাকেরগঞ্জ পৌরসভাটি। প্রথম মেয়র মাহাবুব আলম। এরপর সর্বশেষ নির্বাচন হয় ২০০৩ সালের ৫মে। বর্তমান মেয়র নাছরিন জাহান রত্মা। এরপর দীর্ঘ ৮ বছর পর আবার নির্বাচন হবে আগামী বছর। বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা দলের নিকট নিজের গ্রহণযোগ্যতা প্রমাণের জন্য অনেক আগেই মাঠে নেমে পরেছেন। আওয়ামীলীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা দলের নেতা-কর্মীদের নিজের পক্ষে টানতে প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। যাচ্ছেন ভোটারদের বাড়ি বাড়ি, কুশল বিনিময় করছেন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজনসহ সাধারণ ভোটারদের সাথে। ৯টি ওয়ার্ড পরিবেষ্টিত এ পৌর সভায় মোট ভোটার সংখ্যা প্রায় ১৩ হাজার। মেয়র পদে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী ২ জন, আ’লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী ২ জন এবং জাপা সম্ভাব্য প্রার্থী ১ জন।
এছাড়া ৯টি ওয়ার্ডে বিএনপির ১৩, আলীগের ১৭ জন, জাপার ১০ জন এবং স্বতন্ত্র হিসেবে ৬/৭ জন প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। তবে মেয়র পদে আ’লীগের দলীয় মনোনয়ন কিংবা সমর্থক কে পায় তা নিয়ে এলাকায় রয়েছে নানা গুঞ্জন। কে পায় সমর্থক নামের সোনার হরিন এমন প্রশ্নে বিভোর তৃণমূল নেতা-কর্মী ও পৌরবাসী। মেয়র পদে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন জেলা আওয়ামীলীগের বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ও বাকেরগঞ্জ পৌরসভার সাবেক পৌর চেয়ারম্যান মাহাবুব আলম, পৌর বিএনপির বর্তমান সাধারন সম্পাদক মতিউর রহমান মোল্লা, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাছির জমাদ্দার, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি লোকমান হোসেন ডাকুয়া, বর্তমান পৌর মেয়র জাপা ভাইস চেয়ারম্যান নাছরিন জাহান রতœা। উল্লেখ্য, বরিশাল বিভাগে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১২ জানুয়ারি। মনোনয়নপত্র দাখিল ১৫ ডিসেম্বর, বাছাই ১৮ ও ১৯ ডিসেম্বর এবং প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৭ ডিসেম্বর।