আওয়ামীলীগ প্রচারনায় এগিয়ে ॥ বিএনপির সিদ্ধান্তহীনতায় ভোটারদের মধ্যে চলছে কঠিন হিসেব নিকেশ

এসব পৌরসভার প্রচারনায় এগিয়ে রয়েছেন আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থীরা। বিএনপির প্রার্থীরা এখনো রয়েছেন সিদ্ধান্তহীনতায়। অপরদিকে নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক মহলে চলছে কঠিন হিসেব নিকেশ। বন্দর, বাসষ্ট্যান্ড থেকে শুরু করে পাড়া মহল্লার প্রতিটি চায়ের দোকানে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে নির্বাচনকে ঘিরে আলোচনা। পৌরসদরের দোকানগুলোতে নির্বাচনে প্রার্থী হতে আগ্রহীরা সদলবলে আড্ডা জমিয়ে চলছেন। বিশেষ করে রাতের বেলায়ই জমে এসব আড্ডা। বিগত দিনের নির্বাচিত পৌর মেয়র ও কাউন্সিলরদের কর্মকান্ডের হিসেব নিকেশ চলছে চুল চেড়া বিশ্লেষনে। সবমিলিয়ে বিগত নির্বাচনে ভোট দিতে নাপারার গ্লানী মোচন করতে চান এসব পৌরসভার সাধারন ভোটাররা। সে কারনেই আগেভাগেই তারা হিসেব কষতে শুরু করেছেন। ভোটারদের মতে, বিগত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে এসব আসনের বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্যদের সশস্ত্র ক্যাডাররাই সাধারন ভোটারদের প্রায় শতভাগ ভোট প্রয়োগ করেছে। সে সময়ে নির্বাচিত অধিকাংশ পৌর মেয়ররা স্ব-স্ব পৌরবাসীর মৌলিক চাহিদা পুরনের জন্য নানা পদক্ষেপ নিলেও পরে তা মুখ থুবরে পরে। তবে পৌরবাসীর মৌলিক চাহিদা পূরন না হলেও কতিপয় পৌর মেয়র ও কাউন্সিলরদের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়েছে রাতারাতি। তাই আগামি পৌর নির্বাচনে একটি অবাধ সুষ্ঠ নির্বাচনের মাধ্যমে যোগ্য মেয়র ও কাউন্সিলরদের নির্বাচিত করতে চান এসব পৌরসভার সাধারন ভোটাররা। এছাড়াও প্রতিপক্ষের জোরালো প্রার্থী কে হচ্ছেন, এমন আলোচনার যেন শেষ নেই। এদিকে দলীয় মনোনয়ন পেতে উঠে পড়ে লেগেছেন কাউন্সিলর প্রার্থীরা।
বরিশালের গৌরনদী পৌরসভার মেয়র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী ঘোষনা করা হয়েছে উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মোঃ হারিছুর রহমান হারিছকে। ব্যক্তি ইমেজে হারিছের অবস্থানও রয়েছেন লক্ষনীয়। তবে তার প্রতিপক্ষ প্রতিদ্বন্ডি হিসেবে উপজেলা জাতীয়পার্টির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ্ব মোঃ আলাউদ্দিন ভূঁইয়াও রয়েছেন শক্ত অবস্থানে। তার মতে, গ্রহনযোগ্য (ফেয়ার) নির্বাচন হলে আর ভোটারা সঠিক ভাবে তাদের ভোটধিকার প্রয়োগ করতে পারলে তিনিই (আলাউদ্দিন ভূইয়া) নির্বাচনে বিজয়ী হবেন। এখানে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও পৌর মেয়র নুরে আলম হাওলাদার, উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি শরীফ হাফিজুর রহমান টিপু, পৌর বিএনপির সভাপতি এস.এম মনিরুজ্জামান মনির, সাবেক সাধারন সম্পাদক শরীফ জহির সাজ্জাত হান্নান ও উপজেলা যুবদলের আহবায়ক সফিকুল ইসলাম শরীফ স্বপন।

মুলাদী পৌরসভার মেয়র প্রার্থী হিসেবে ব্যাপক গণসংযোগ করে যাচ্ছেন বর্তমান ভারপ্রাপ্ত মেয়র ও বিএনপি নেতা মোঃ এনামুল হক, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল মালেক রাঢ়ী, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক তরিকুল হাসান মিঠু, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক আহবায়ক হারুন-অর রশিদ খান, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন কবিরাজ। মেহেন্দীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক কামাল উদ্দিন খান, আওয়ামীলীগ নেতা ও সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নিজামউদ্দিন আহম্মেদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহসম্পাদক খোরশেদ আলম ভুলু, পৌর বিএনপির সভাপতি সাহাবুদ্দিন হিমু, উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম লাবু। বাকেরগঞ্জ পৌরসভার বর্তমান মেয়র ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেত্রী নাসরিন জাহান রতœা, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি লোকমান হোসেন ডাকুয়া, পৌর আওয়ামীলীগের আহবায়ক ও বর্তমান পৌর কাউন্সিলর মশিউর রহমান জমাদ্দার, সাবেক পৌর মেয়র মাহবুব আলম, আওয়ামীলীগ নেতা নাসির উদ্দিন মাঝি, পৌর বিএনপির সভাপতি মতিউর রহমান মোল্লা, বিএনপি নেতা ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোফাজ্জেল হোসেন জমাদ্দার, পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক ও বর্তমান পৌর কাউন্সিলর মোফাজ্জেল হোসেন, জাতীয় পার্টির নেতা মিজানুর রহমান, বানারীপাড়া পৌরসভার বর্তমান মেয়র ও আওয়ামীলীগ নেতা গোলাম সালেহ মঞ্জু মোল্লা, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন আহবায়ক এডভোকেট সুভাষ চন্দ্র শীল, সদস্য এ.কে.এম ইউসুব আলী, জাসদের জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুজ্জামান আনিচ, আওয়ামীলীগ নেতা হারুন-অর রশিদ, আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সাবেক নেতা ও সাংবাদিক সোহেল সানী, উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক গোলাম মাহবুব মাষ্টার, সহসভাপতি এডভোকেট আব্দুস সাত্তার বাবলু মেয়র প্রার্থী হিসেবে ব্যাপক গণসংযোগ করে যাচ্ছেন। এছাড়াও এ পাঁচটি পৌরসভায় কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে প্রায় পাঁচ শতাধিক প্রার্থী গণসংযোগ শুরু করেছেন।