মহাজোটে কোন্দল-শক্ত অবস্থানে চারদলীয় জোট

এক প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর পরই সাধারন ভোটারদের মধ্যে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। যে কোন সময় যেকোন ইস্যুতে বিএনপির নির্বাচন বয়কট করার আশংকায় আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী ওই প্রার্থীকে ডামি প্রার্থী হিসেবে রাখা হয়েছে বলেও কেউ কেউ ধারনা করছেন। তবে আওয়ামীলীগের দু’প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেয়ায় এখানকার নেতা-কর্মীদের মধ্যে কোন্দল দেখা দিয়েছে। এদিকে মহাজোটের কোন্দলের কারনে শক্ত অবস্থানে রয়েছে বিএনপি সমর্থিত চারদলীয় জোটের একমাত্র প্রার্থী ও পৌর মেয়র নুরুল ইসলাম ওরফে নুর আলম হাওলাদার।

ইতোমধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও গৌরনদী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সোবহান, কেন্দ্রীয় কমিটির আরেক সদস্য ও বরিশাল জেলা উত্তর বিএনপির সাধারন সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান দলের তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের নিয়ে পৃথক সভা করে তাদের মনোনীত প্রার্থী নুর আলম হাওলাদারকে বিজয়ী করার জন্য দলের তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের নির্দেশ দিয়েছেন।
সূত্রমতে, গত বুধবার ছিলো মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন। ওইদিন দুপুরে গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেনের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন গৌরনদী পৌরসভায় মেয়র প্রার্থী মহাজোট মনোনীত মোঃ হারিছুর রহমান হারিছ। এ সময় তার সাথে ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এডভোকেট তালুকদার মোঃ ইউনুস, উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ আলম খান, আওয়ামীলীগ নেতা কালিয়া দমন গুহ। একইদিন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন চারদলীয় জোটের মনোনীত প্রার্থী ও পৌর মেয়র নুরুল ইসলাম নুর আলম হাওলাদার এবং আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী গোলাম মনির মিয়া।

এছাড়া পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে ৫৫ জন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদপ্রার্থী হিসেবে ১২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, আগামি ১৮ ডিসেম্বর কাউন্সিলর ও ১৯ ডিসেম্বর মেয়র প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাছাই বাছাই এবং ২৭ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন ধার্য করা হয়েছে।