আগৈলঝাড়ার ১৬ শহীদ পরিবারের খোঁজ নেয়নি কেউ

এমনকি শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের কবরস্থানের শেষ স্মৃতি চিহ্ন খুঁজে পাওয়াও মুশকিল হয়ে দাড়িয়েছে। পরবর্তী প্রজন্ম জানবেও না দেশের স্বাধীনতার জন্য যারা শহীদ হয়েছেন তারা কে কোথায় শুয়ে আছেন? বছর ঘুরে বিজয় দিবসের দিনে একটি রজনীগন্ধার স্টিক দিয়ে শহীদ পরিবার সদস্যদের সংবর্ধনা দেয়া ছাড়া বাড়তি কিছুই জোটেনা তাদের ভাগ্যে। শহীদ পরিবারগুলো ইচ্ছা ও আগ্রহ থাকা সত্তেও আর্থিক সংকটের কারণে শহীদদের কবরের বাঁধাই বা রক্ষনাবেক্ষন কিছুই করতে পারছেনা তারা। সরকারী বা রাজনৈতিক কোন পৃষ্ঠপোষকতাও ভাগ্যে জোটেনি তাদের। অবস্থা সম্পন্ন দু’এক পরিবার তাদের প্রিয়জন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার শেষ আশ্রয়স্থলটুকু সংরক্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ থেকে বিজয় দিবস পর্যন্ত পাক হানাদার বাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে আগৈলঝাড়া উপজেলায় যারা শহীদ হয়েছেন তারা হলেন গৈলা গ্রামের শহীদ সিপাহী আলাউদ্দিন, শিহিপাশা গ্রামের শহীদ মোস্তফা হাওলাদার, শহীদ নুরুল ইসলাম হাওলাদার মধ্য শিহিপাশা গ্রামের শহীদ মান্নান মোল্লা, সেলার গ্রামের শহীদ সিরাজুল ইসলাম, ভালুকশী গ্রামের শহীদ আব্দুল মান্নান খান, বাশাইল গ্রামের শহীদ গোলাম মওলা, শহীদ সেকেন্দার আলী, শহীদ আব্দুল আজিজ শিকদার, রাজিহারের বসুন্ডা গ্রামের শহীদ আব্দুল হক হাওলাদার, পয়সা গ্রামের শহীদ শামসুল হক, ফুলশ্রী গ্রামের মনসুর আহম্মদ, চাঁদত্রিশিরা গ্রামের শহীদ  তৈয়ব আলী বখতিয়ার, বেলুহার গ্রামের শহীদ আব্দুস ছালাম, বরিয়ালী গ্রামের শহীদ মহসীন আলী ও রতœপুর গ্রামের শহীদ ফজলুল হক হাওলাদার। উপরোক্ত শহীদের কবরস্থান তার কর্মস্থলে দেয়া হলে স্বজনদের ঐকান্তিক ইচ্ছা থাকা সত্তেও অর্থ সংকটের কারণে ৩৯ বছরেও নিজ বাড়িতে তার প্রিয়জনের কবর স্থানান্তর করতে পারেনি।