বিএম কলেজের অধ্যক্ষ অবরুদ্ধ ॥ সড়ক অবরোধ

অধ্যক্ষের কার্যালয়ে তালা ঝুঁলিয়ে দিয়ে তাকে আড়াই ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রেখেছে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা। এছাড়া কলেজের সামনের সড়কও অবরোধ করে রাখা হয়েছে। পরে অন্যান্য শিক্ষকদের হস্তক্ষেপে অধ্যক্ষকে উদ্ধার করা হয়েছে।

বাকসু নির্বাচন নিয়ে কলেজ প্রশাসনের লুকোচুরী খেলার প্রতিবাদে জোরালোভাবে আন্দোলনে নেমেছে সাধারন শিক্ষার্থীসহ ছাত্র সংগঠনগুলো। দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ন আহবায়ক মঈন তুষার।

সূত্র জানায়, বাকসু নির্বাচনের দাবীতে বেলা এগারটায় কলেজ ক্যাম্পাসের জিরো পয়েন্টে শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ সহকারে সড়ক অবরোধ করে রাখে।এরপর তারা কলেজ অধ্যক্ষের কার্যালয় তালাবদ্ধ করে দেয়। অবরুদ্ধ করে রাখা অধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। দ্বিতীয় দফায় ফের সড়ক অবরোধ করে। তৎসময়ে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের একটি গাড়িসহ কয়েকটি গাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ভাংচুর করতে উদ্যিত হয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করে। দ্বিতীয় দফায় ফের অধ্যক্ষকে অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত তিনি অবরুদ্ধ ছিলেন।

কার্যালয়ের সামনে শিক্ষার্থীরা শ্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করছে। কর্মসূচীতে অংশগ্রহন করেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ন আহবায়ক নাহিদ সেরনিয়াবাদ, ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি জাহেদ আবদুল্লাহ রাহাত, ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি শামিল শাহরোখ তমাল। কলেজের একটি সূত্র জানায়, কলেজের শিক্ষকরা বিক্ষোভ মিছিল করে তালা ভেঙ্গে অধ্যক্ষকে মুক্ত করার প্রস্তুতি চলছে।

এদিকে কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ইতোমধ্যেই সাধারন ছাত্রদের আন্দোলনে অংগ্রহন নিশ্চিত করনে প্রতিটি ক্লাশে ডায়াসিং, মানববন্ধন, কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ, অধ্যক্ষের কুশপুত্তলিকা দাহ সহ নানান কর্মসূচী পালন করেছে। তাদের এ দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে কলেজ অধ্যক্ষ ড. ননী গোপাল দাস গত ২মাস আগে নির্বাচনের আশ্বাস দেন। তার এ আশ্বাসের প্রতি আস্থাহীন হয়ে পড়েছে আশ্বস্ত শিক্ষার্থীরা। তাদের বক্তব্য হচ্ছে, কলেজ অধ্যক্ষ একটি নির্দিষ্ট এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছেন। তিনি যেমনি সাধারন শিক্ষার্থীদের সাথে ছলচাতুরী করছেন তেমনি ছাত্ররাও তাকে অবমূল্যায়ন করছে।

ছাত্র ইউনিয়ন কলেজ শাখার সাবেক সভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান ওয়াহিদ এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সাধারন  শিক্ষার্থীদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করার কোন সুযোগই কলেজ অধ্যক্ষের নেই। তার দাবী বাকসু নির্বাচন হতে হবে সকল দলের অংশ গ্রহনের মাধ্যমে সুষ্ঠু একটি নির্বাচন। কলেজ প্রশাসন যদি এতে ব্যর্থ হয় তবে তার পরিনাম হবে ভয়াবহ।

ছাত্রলীগ কলেজ শাখার যুগ্ন আহবায়ক নাহিদ সেরনিয়াবাদ জানান, সাধারন শিক্ষার্থীরা তাদের ন্যায্য দাবী আদায়ের জন্য যা যা প্রয়োজন তাই করবে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বাকসু নির্বাচন হতে হবে সম্পূর্ন গনতান্ত্রিক উপায়ে, কোন সিলেকশন সাধারন ছাত্ররা মেনে নেবে না বলেও তিনি জানান।

অপরদিকে ছাত্রলীগের অপর যুগ্ন আহ্বায়ক রফিক সেরনিয়াবাত জানান, তিনি বাকসু নির্বাচনের পক্ষে তবে কোন সহিংস ঘটনা ঘটানো হলে তাতে তার সমর্থন নেই বলে জানান।