বরিশালের বিএনপি নেতাকে র‌্যাব পরিচয়ে অপহরন

থেকে অপহরন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আবুল হায়দারের পরিবারের দাবি জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষরা হায়দারকে র‌্যাব দিয়ে অপহরন করে নিয়েছে। কিন্তু প্রশাসন কর্তৃক হায়দারকে আটক কিংবা গ্রেফতারের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি।

অভিযোগে জানা গেছে, বরিশাল নগরীর করিমকুটির এলাকার আব্দুর রশিদের পুত্র আবুল হায়দার।  সে নগরীর ২১নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি। করিমকুটিরের সম্মুখে হায়দারের একটি ফার্মেসি রয়েছে। এছাড়াও তিনি একটি ঔষধ কোম্পানীর বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। ঔষধ কোম্পানীর অফিশিয়াল কাজের জন্য গত বৃহস্পতিবার হায়দার তার বন্ধু কবির হোসেনকে নিয়ে লঞ্চযোগে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা হন। সকালে লঞ্চ থেকে নেমে মহাখালীর জাকারিয়া হোটেলে থাকার সিদ্ধান্ত নেন তারা। হোটেলে গিয়ে হায়দার নিচে দঁড়িয়ে থেকে হোটেলের দ্বিতীয় তলায় কেবিন বুকিং করতে পাঠান তার বন্ধু কবিরকে। এ সময় একটি কালো মাইক্রোবাস হোটেলের সম্মুখে এসে দাঁড়ায়। গাড়ি থেকে কয়েকজন ব্যক্তি নেমে হোটেলের ভিতরে প্রবেশ করে র‌্যাব পরিচয় দিয়ে হায়দারকে গাড়িতে তুলে নেয়। এরপর থেকে হায়দারের আর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।

এ ঘটনায় শুক্রবার গুলশান থানায় হায়দারের ভাই হারুন-অর রশিদ একটি সাধারন ডায়েরি করেছেন। ডায়েরিতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জিয়াউর রহমান বিপ্লবকে আসামি করা হয়।

হায়দারের চাচা মোঃ বদিউজ্জামান বলেন, হায়দারের ব্যক্তিগত কোন শত্র“ নেই। তবে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে হায়দারকে প্রতিপক্ষের লোকজনে র‌্যাব দিয়ে তুলে নিয়েছে বলে তারা ধারনা করছেন। হায়দারের স্ত্রী রোমানা বলেন, হায়দারের সাথে বৈদ্ধপাড়ার বিপ্লবের জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এ কারনে অপহরনের সাথে তারা (বিপ্লব) জড়িত রয়েছে বলে তারা সন্দেহ করছেন। বিপ্লবের পরিবার হায়দার ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যে মামলা দায়ের করে হয়রানি করে আসছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন। এছাড়াও গত একমাস পূর্বে বরিশাল আদালতের অভ্যন্তরে বসে বিপ্লব তার স্বামী হায়দারকে র‌্যাব দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিল। তাছাড়া বিপ্লবের বড় ভাই র‌্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান হওয়ায় তারা এ সন্দেহ করছেন বলেও উল্লেখ করেন। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত জিয়াউর রহমান বিপ্লব বলেন, হায়দারের পরিবার সাথে তার কোনো দ্বন্ধ নেই। তবে হায়দারের এক নিকট আত্মীয়ের সাথে তাদের জমিজমা নিয়ে মামলা চলছে। তাছাড়া তিনি এখনো বরিশালে অবস্থান করছেন। তাকে অপহরনের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।

উল্লেখ, ২০০৬ সালে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শফিকুল্লাহ মোনায়েম ও সম্প্রতি জেলার উজিরপুর উপজেলার হারতা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবিরকে র‌্যাব পরিচয়ে বাসা থেকে তুলে নেয়ার পর আজো তাদের কোনো সন্ধান মেলেনি।