পাঠক, আপনাদের কি পরিচয় আছে সাদা এপ্রোণের এসব জুনিয়র-সিনিয়র ইয়ার-দোস্তদের ইয়ারীর সাথে? মানুষের বাঁচা মরার সন্ধিক্ষনে খোদার ঠিক পরের আসনটায় বসে লাল নীল শিবিরে বিভক্ত এসব পিচাশের দল রুগী নিয়ে কোন্ ধরনের মারফতী খেলায় মত্ত হন তা ভুক্তভোগী মাত্রই জানার কথা। অনেকেই বলবেন সব ডাক্তার নিশ্চয় এক নয়। আমি বলব ডাক্তারের অভিধানে ভুল নামের কোন শব্দ থাকা অপরাধ। এমনটা মেনেই ডাক্তারী পড়তে আসা উচিৎ। অন্য সব প্রফশনের ভুল ফিক্স করা সম্ভব হলেও ডাক্তারদের ভুল যে শোধরানো সম্ভব নয় তা আবারও প্রমান করল কণিকার ভুল অপারেশন। এধরনের প্রফেশনাল ক্রাইমের বাইরে বাংলাদেশের ডাক্তার সমাজ রাজনীতির ছত্রছায়ায় মাঝে মধ্যে এমন সব ঘটনার জন্ম দেন যা গিনিজ রেকর্ডবুকে ঠাঁই নেয়ার দাবী রাখে; রুগী পেটানো, সেবিকা আক্রমন, হাসপাতালের ইনফ্রষ্ট্রাকচার ভাংচুর, নিজদের মধ্যে রক্তারক্তি, মৃত্যুপথযাত্রী রুগীদের জিম্মি করে দাবী আদায়, এ জাতীয় ঘটনা বিশ্ব চিকিৎসা ব্যবস্থায় একবারেই অশ্রুত।
আমার এ লেখা পড়ে দায়িত্বপরায়ন দাবীদার ডাক্তারদের যদি গাত্রদাহ হয় দয়া করে প্রমান করবেন আপনাদের ভালমানুষীপনা। রাজনৈতিক বিরুদ্বচারন ছাড়া এক ডাক্তার অন্য ডাক্তারের প্রফেশনাল ক্রাইম নিয়ে কথা বলছে, বাংলাদেশে আজ পর্যন্ত এমনটা শোনা যায়নি। ঢাকা শহরে যেমন তেমন, মফস্বলে রুগীর কাছে ডাক্তার মানেই রক্তচোষা ভ্যম্পায়ার, যারা কর্পোরেট চাহিদার কাছে রুগীদের জিম্মি করে গড়ে নেয় নিজদের ভাগ্য। একদিকে ঔষুধ কোম্পানীর নগদ নারায়ণের জন্যে রুগীদের মাত্রাতিরিক্ত ঔষুধ গেলানো, পাশাপাশি ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের কমিশনের জন্যে পেটের রোগে চোখের এক্স-রে করাতে বাধ্য করা, এসব আর যাই হোক চিকিৎসা হতে পারেনা। সাহষ থাকলে প্রতিবাদ করুন এসব জঘন্য অন্যায়ের, বিচার দাবী করুন এসব লাগামহীন অপরাধের।
কনিকার ডাক্তার সর্বজনাব শাহ আলম ক্ষমা চেয়েছেন সতীর্থদের ভুলের জন্যে। কি চমৎকার বদন্যতা! এ ধরনের ভন্ডামী বাংলাদেশের ডাক্তারদের পক্ষেই সম্ভব, পৃথিবীর অনেক দেশে তা শাস্তিযোগ্য জঘন্যতম অপরাধ। রাজনীতির কড়াল গ্রাস হতে আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা যতদিন মুক্ত না হচ্ছে পাঠকদের অনুরোধ করব আপনজনকে অপারেশন টেবিলে পাঠিয়ে কাছাকাছি কোথাও হতে মনিটর করবেন এসব ডাক্তারদের ডাক্তারীপনা।
– ধন্যবাদ।
Source : AmiBangladeshi (WatchDog) and Main News Source from- http://www.amadershomoy.com/content/2010/03/03/news0242.htm