এরইমধ্যে মোস্তাফিজুর রহমান তাদের সমিতির প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয়। গত মঙ্গলবার কিস্তির টাকা উত্তোলন করতে না যাওয়া সদস্যরা গতকাল বৃহস্পতিবার শাখা অফিসে যোগাযোগ করার পর মোস্তাফিজুর রহমানের গাঁ ঢাকা দেয়ার কথা বেরিয়ে আসে।
গ্রামীণ ব্যাংকের কটকস্থল সমিতির সভানেত্রী সুফিয়া বেগম অভিযোগ করেন, বাউরগাতি, আনন্দপুর, সুন্দরী, কটকস্থল, রামনগর, কসবা, তাঁরাকুপিসহ ৯টি কেন্দ্র থেকে মোস্তাফিজুর রহমান প্রায় ২০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তিনি আরো বলেন, দুঃস্থ ও অসহায় সদস্যদের টাকা নিয়ে গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মকর্তার উধাও হয়ে যাওয়ার সংবাদে ওইসব সদস্যরা হতাশ হয়ে পরেছেন। তার এখন প্রতিনিয়ত গ্রামীণ ব্যাংকের শাখা অফিসে ভীড় জামাচ্ছেন।
গ্রামীণ ব্যাংকের গৌরনদীর এরিয়া ম্যানেজার আব্দুর রহমান টাকা নিয়ে কেন্দ্র ব্যবস্থাপক মোস্তাফিজুর রহমানের গাঁ ঢাকা দেয়ার কথা স্বীকার করলেও সর্বমোট টাকার পরিমান জানাতে অপরাগতা প্রকাশ করেন।
টরকী শাখার ব্যবস্থাপক আশরাফুল ইসলাম জানান, গ্রাহকরা অনেক টাকার কথা বলেও প্রাথমিক ভাবে প্রায় ২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার সত্যতা পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে গৌরনদী থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করা হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।