দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রাশিল্পীরা মানবেতর দিন যাপন

অনুমুতি না পাওয়ায় যাত্রা শিল্পীরা এখন মানবেতর দিন কাটাচ্ছে।

লোক সংস্কৃতির অন্যতম সংস্কৃতি যাত্রাশিল্প বিগত জামাত জোট সরকারের সময় বন্ধ হয়ে গেলেও  বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসায় এই সংস্কৃতির আবার হালে পানি এসেছে। দেশব্যাপী যাত্রাশিল্পীদের কদরও বেড়েছে। যদিও সেকালের মঞ্চায়নকৃত যাত্রাপালা স্বপরিবারে উপভোগ করার মত অভিনয় ছিল শিক্ষনীয়। কালের আবর্তে বর্তমানে যাত্রাও প্রায় অশ্লীল নৃত্যই বেশী দেখা যায়। সারাদেশে যাত্রা অপেরা মঞ্চায়নে প্রশাসনিক অনুমোদন থাকলেও দক্ষিনাঞ্চলে প্রশাসনের অনুমতি না পাওয়ায় গোটা দক্ষিনাঞ্চলে যাত্রাশিল্পীরা এখন মানবেতর জীবন যাপন করছে। দক্ষিনাঞ্চল যাত্রা শিল্প উন্নয়ন পরিষদের  সহ-সভাপতি রবীন্দ্র নাথ হালদার জানান প্রতিবছর শীতকালিন সময়ে বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই যাত্রাপালা মঞ্চায়ন হয়। শিল্পীরাও এই সময়কে যাত্রার মৌসুম বলেই ধরে নেয়। তিনি বলেন প্রশাসনের অনুমোদন না পাওয়ায় দক্ষিনাঞ্চলের কয়েকশত যাত্রাশিল্পী বেকার হয়ে পরেছে। যাত্রা শিল্পী আলপনা মুখার্জী, কল্পনা বিশ্বাস, লক্ষ্মী রানী রায়, প্রফুল্ল ব্যানার্জী, অবনী সরকার সহ একাধিক শিল্পীর সাথে আলাপকালে তারা আক্ষেপ করে বলেন ভেবেছিলাম বর্তমান সরকারের সময় সকল সমস্যার সমাধান হয়ে তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটবে। 

সামাজিকভাবে শিল্পীর পরিচয় থাকলেও অর্থনৈতিক সংকটে বর্তমানে অনেক শিল্পী অর্জিত পেশা ছেড়ে অন্য কোন পেশা খুঁজছেন। এদের পরিবার পরিজন নিয়ে এখন টিকে থাকাই দায়। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রে জানা গেছে। গৌরনদী থানার নলচিরা, উজিরপুরের  গুঠিয়া, আগৈলঝাড়ার বারপাইকা, মুলাদী সহ কয়েকটি স্থান থেকে যাত্রা অপেরা মঞ্চায়নের অনুমোদন প্রাপ্তির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করা হয়েছে। শিল্পীদের দাবী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ  যেন  তাদের এই অসহায়ত্বের বিবেচনা করে যাত্রাপালা মঞ্চায়নে অনুমোদন প্রদান করেন।